বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহের কাছে তিন বছরের রূপরেখা চেয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি
মোঃ সাইদুর রহমান
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন আগামী তিন বছরে কোন দেশ কি পরিমাণ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারে তার রূপরেখা দেওয়ার জন্য বিদেশে বাংলাদশ মিশনগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন। অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার তালিকায় রাখার নির্দেশনা দিয়ে লেখা এক পত্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাস/হাইকমিশন প্রধানদের এ নির্দেশ দেন।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রাধান্য দিয়ে স্বাগতিক সরকারের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি অভিবাসী বাংলাদেশীদের স্বদেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে উৎসাহিত করতেও নির্দেশনা দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন তার তাঁর চিঠিতে বাংলাদেশী অভিবাসীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ উপযোগটুকু পেতে পাবলিক ডিপ্লোম্যাসি ধারণার সফল বাস্তবায়নের ওপরও জোর দেন। তিনি বাংলাদেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সাফল্য বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি বিভিন্ন ভাষায় উপস্থাপনের মাধ্যমে সারা বিশ্বে বাংলাদেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরে ‘ব্রান্ডিং’ করারও আহবান জানান ।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের নির্বাচনী লক্ষ্যসমূহ অর্জনে আমাদের যেমন অধিকতর বিনিযোগ দরকার, সেই সঙ্গে উন্নত প্রযুক্তি আহরণ ও ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানোর ক্ষেত্রে দূতাবাসসমূহের সক্রিয় উদ্যোগ নেয়া দরকার।’
তিনি এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে স্বপ্রণোদিত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার আহবান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্বাগতিক দেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের কার্যকর সেতুবন্ধন স্থাপনে সহায়তা প্রদানেরও নির্দেশনা দেন।
ড. মোমেন উল্লেখ করেন, বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণের মাধ্যমে দেশে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান ও পর্যটন খাতের বিনিয়োগ বাড়ানো সম্ভব। ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন দেশের ফার্মাসিউটিক্যাল, পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন শিল্পের অবস্থান সুদৃঢ় করতে রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণে নতুন নতুন বাজার অনুসন্ধানেরও তাগীদ দেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক ও উপ-আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা ও চুক্তি সম্পাদনে যথাযথ সমন্বয়কের ভূমিকা পালন এবং রপ্তানি ও আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের বিদেশে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারগণ দৃশ্যমান ভূমিকা রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।