পুঁজিবাজারের লেনদেন ফের কমেছে
নির্বাচনের পর কিছুটা চাঙা হলেও আবারও পতনের ধারায় ফিরে গেছে পুঁজিবাজার। কমছে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর। পাশাপাশি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচকের অবস্থান গিয়ে ঠেকেছে এক মাসের সর্বনিম্ন স্থানে। এরই জের ধরে ভাটা পড়েছে লেনদেনেও। গত এক মাস ধরে লেনদেন নেমে গেছে এক হাজার কোটি টাকার নিচে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, এক মাস আগে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সের অবস্থান ছিল পাঁচ হাজার ৮২০ পয়েন্টে। এরপর থেকে বেশিরভাগ সময়ই নিম্নমুখী থাকে বাজার। এর জের ধরে বর্তমানে গত এক মাসের সর্বনিম্ন অবস্থানে চলে এসেছে সূচক। গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের অবস্থান ছিল পাঁচ হাজার ৭১১ পয়েন্টে। এই সময়ের মধ্যে সূচক কমেছে ১০৯ পয়েন্ট।
অন্যদিকে পতনের জের ধরে কমে গেছে লেনদেন। ডিএসইতে সর্বশেষ ৩০ জানুয়ারি এক হাজার ২৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়। এরপর লেনদেন আর হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করতে পারেনি। গত সপ্তাহের শেষ দিনে ডিএসই লেনদেন ছিল ৬৮৯ কোটি টাকা।
আলাপকালে বাজারসংশ্লিষ্ট জানান, ডিএসইতে গড়ে প্রতিদিন দেড় হাজার কোটি টাকার উপরে লেনদেন হওয়া উচিত। কিন্তু বাজার সামান্য ঘুরে দাঁড়ালেও হাজার কোটির টাকার উপরে লেনদেন চোখে পড়ে না। তাদের মতে, ডিএসইতে এখন যে পরিমাণ প্রতিষ্ঠান তালিকাভুক্ত রয়েছে তাতে এক হাজার থেকে দেড় হাজার কোটি টাকা লেনদেন খুবই স্বাভাবিক।
বর্তমান বাজার পরিস্থিতি নিয়ে তারা বলেন, বাজার কিছুদিন বেশ ভালো ছিল। এরপর দর সংশোধন হতেই পারে। কিন্তু লেনদেন হতে হবে সন্তোষজনক। কিন্তু এ বাজারে যে লেনদেন হচ্ছে তা মোটেও সন্তোষজনক নয়। এটা দেখে বোঝা যায় বাজারে তারল্য সংকট চলছে। এটা দূর করতে না পারলে বাজার পরিস্থিতি ভালো হবে না বলে মন্তব্য করেন তারা। তবে কেউ কেউ বাজারের এ পরিস্থিতির কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।