দুদক কর্মকর্তাদের ভূমিসহ সরকারী সবধরনের কার্যপদ্ধতির সুস্পষ্ট ধারনা থাকতে হবে: ইকবাল মাহমুদ
সাইয়্যদ মোঃ রবিন,
দুর্নীতির অভিযোগে কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। দুর্নীতির তদন্ত করতে হলে দুদক কর্মকর্তাদের ভূমিসহ সরকারি সবধরনের কার্যপদ্ধতির সুস্পষ্ট ধারণা থাকতে হবে বলে মনে করেন তিনি।
রবিবার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের ‘ভূমি ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘যেকোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা মানে তার সামাজিক স্বাধীনতা হরণ করা। তাই মামলা দায়েরের পূর্বে অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন, রিপোর্টে স্কেচ ম্যাপ সংযোজন, দালিলিক প্রমাণাদি এবং সাক্ষ্য সংগ্রহ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, ‘যার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্ত করছেন ধরে নিতে হবে তিনি নির্দোষ, তবে অভিযোগের পক্ষে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেলেই তাকে অভিযোগসংশ্লিষ্ট বলে মনে করা যেতে পারে।’
‘দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ করা চাকরি ভাবলে হবে না, এটা একটা মিশন।’ গতানুগতিক চাকরি আর কমিশনে চাকরির মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনাদের আচরণে, কর্মে এবং সমাজে বিচরণে সততা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হতে হবে।’
‘নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ কমিশনে আসে। এসব অভিযোগ তদন্তে ঢালাওভাবে তথ্য উপাত্ত চাওয়া কিংবা ঢালাওভাবে অভিযুক্ত করার কোনো সুযোগ নেই সবকিছু হতে হবে সুনির্দিষ্ট , দালিলিক তথ্যভিত্তিক এবং ভূমিসংক্রান্ত সব আইনের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন দুদকরে মহাপরচিালক (প্রশাসন) মুনীর চৌধুরী। কমিশনের বিভিন্ন পদমর্যাদার ৩০ কর্মকর্তা এ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছেন।