ঢাবিতে স্বল্পদৈর্ঘ চলচিত্র প্রদর্শনী
ভূঁইয়া আসাদুজ্জামান
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদের উদ্যোগে স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার এবং চলচ্চিত্র বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিনব্যাপী এই আয়োজনে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জঙ্গী ও মাদকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সচেতন করার লক্ষ্যে সংস্কৃতিকর্ম ছড়িয়ে দেয়ার আহবান জানিয়েছেন বক্তারা।
তারা বলেছেন, শিক্ষার্থীরাই হচ্ছে দেশের ভষিষ্যত প্রজন্ম, যারা দেশ পরিচালনা করবেন। তাদের সুনাগরিক ও মানবিক গুনসম্পন্ন করে তোলাই হোক সংস্কৃতি চর্চার আকাংখা। যে হারে সমাজে মানবঘাতি মাদকতা ছড়িয়ে পড়েছে, এ থেকে জাতিকে মুক্ত করতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এ বিষয়ে প্রচার কাজ ও সচেতনতামূলক কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে হবে।
চলচ্চিত্র প্রদর্শনী উপলক্ষে সেমিনার ও দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে অতিথিরা এসব বক্তব্য রাখেন। উৎসবের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ও বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক কাবেরী গায়েন। আরও বক্তব্য রাখেন অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের সামাজিক বিজ্ঞান ভবনে মুজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে রোববার অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি রাগীব আহেমদ।
এতে প্রদর্শিত হয় বদরুল আনাম সৌদ পরিচালিত স্বল্পদৈর্ঘ ছবি ‘চোরাবালি’, বাশার জর্জ পরিচালিত ‘ফেরা’ ও তানভির আহসানের ছবি ‘ঘরের ভেতর ঘর’। অনুষ্ঠানে এই তিন পরিচালক ছবির বিষয়ে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন।
অনুষ্ঠানে অধ্যাপক কাবেরী গায়েন বলেন, জঙ্গীবাদ ও মাদকবিরোধী এবং সামাজিক অনাচারের বিরুদ্ধে ছবিগুলো নির্মিত। এ সব ছবি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রদর্শিত হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি অভিমত রাখেন।
বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বদরুল আনাম সৌদ বলেন, তার ছবিটির বিষয় হচ্ছে, জঙ্গীবাদ ও মাদকবিরোধী। দেশের তরুন সমাজের মাঝে এ বিষয়ে সচেতনামূলক বার্তা পৌছে দিতেই তিনি ছবিটি নির্মাণ করেছেন। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছবিটি প্রর্দর্শিত করলে নতুন প্রজন্মের মানুষ নিজেদেরকে সচেতন করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত হবে।
বাশার জর্জ বলেন, তার ছবিটি সমাজের অবক্ষয় রোধে প্রতীকধর্মী একটি কাহিনী। সন্ত্রাস দমন, মাদকতা নির্মূল ও যুব সমাজের শিক্ষামূলক বিষয় নিয়ে তিনি এই ছবি নির্মাণ করেছেন।
ঢাবি সাংস্কৃতিক সংসদের সভাপতি রাগীব আহমেদ বাসসকে বলেন, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে জঙ্গীবাদ দমন ও মাদকতার বিরুদ্ধে প্রচারের লক্ষ্য নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী প্রদর্শনীগুলো উপভোগ করেন।