বিমান ছিনতাই চেষ্টা: ৫জন বরখাস্ত ১জন প্রত্যাহার
স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ ময়ূরপঙ্খি বিমান ছিনতাই চেষ্টার ঘটনায় পাঁচজন নিরাপত্তাকর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং একজনকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এসব তথ্য জানিয়েছে।
সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পাঁচ কর্মীরা হলেন- অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সশস্ত্র নিরাপত্তা প্রহরী মো. ইউনুস হাওলাদার, হেভি লাগেজ গেটে (উত্তর) স্ক্যানিংয়ের নিরাপত্তা সুপারভাইজার মো. লেহাজ উদ্দিন ভূঁইয়া, বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের কেবিন ব্যাগেজ স্ক্যানিং গেটের অপারেটর আনসার সদস্য আলীম হোসেন, বডি সার্চার আনসার সদস্য মাহফুজুর রহমান ও হেভি লাগেজ গেট উত্তরের বডি সার্চার আনসার সদস্য সাদ্দাম হোসেন।
অন্যদিকে প্রত্যাহার হওয়া নিরাপত্তাকর্মী হলেন-ঘটনার সময় কর্তব্যরত এয়ারপোর্ট সিকিউরিটি ফোর্সের (এভসেক) সদস্য পোস্ট সুপারভাইজার সার্জেন্ট সাজেদুল ইসলাম। তাকে তার বর্তমান কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
ওই ঘটনার পর শাহজালালসহ দেশের সব কটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো বেশি জোরদার করা হয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি অভ্যন্তরীণ রুটে ফটো আইডি ছাড়া যাত্রীদের বিমানে ওঠায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সিভিল এভিয়েশন। এখন থেকে এই রুটে টিকিট কাটার সময় যাত্রীদের ফটো আইডি প্রদর্শন করতে হবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাইগামী বিমানের একটি ফ্লাইট উড্ডয়ন অবস্থায় অস্ত্রের মুখে পলাশ আহমেদ (২৮) নামে এক যুবক ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় পাইলট উড়োজাহাজটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করান। এ সময় যাত্রী ও ক্রুরা নিরাপদে নেমে যান। পরে কমান্ডো অভিযানে নিহত হন পলাশ। পরবর্তী সময়ে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ছিনতাইকারীর কাছে যে পিস্তলটি পাওয়া গেছে তা খেলনা পিস্তল। ঘটনার পর পতেঙ্গা থানায় একটি মামলা হয়।