অবৈধ সম্পদ আহরনের অভিযোগে ডিপিডিসির রমিজ উদ্দিনকে দুদকের জিগ্যেসবাদ
স্যাইদ মো. রবিন
ঢাকা লিগ্যার ডেস্ক : ঢাকা পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. রমিজ উদ্দিন সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৪ মার্চ ডিপিডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে রমিজকে তলব করে চিঠি পাঠানো হয়। এর আগে দুদকের অনুসন্ধানে তার নামে বিপুল অবৈধ সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে রমিজ উদ্দিন সরকারের নামে রাজধানীতেই পাঁচটি বাড়ি, গাজীপুরে ৩০ একর জমি, এবং তার জন্মভূমি কুমিল্লায় কয়েক একর জমির তথ্য মেলে।
অন্যদিকে রমিজ উদ্দিনের স্ত্রী সালাম পারভীনের নামেও কুমিল্লাতে জমিজমা ছাড়াও পুঁজিবাজারে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিয়োগের তথ্য পায় দুদক। আর এজন্য তাদের সম্পদের বিবরণী দাখিলের জন্য নোটিশ পাঠায় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।
অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদকের এক কর্মকর্তা জানান, রমিজ উদ্দিনের নামে রাজধানীর উত্তরার ৫নং সেক্টরের ২নং রোডে সাত তলা একটি বাড়ি আছে। আর মিরপুরের পূর্ব মনিপুর ১৩০৭/ডি ছয়তলা, মিরপুরের ২৮ মল্লিকা মিল্কভিটা রোডে চারতলা ফ্ল্যাট, রামপুরা মহানগর হাউজিংয়ে ৮নং রোডের ডি ব্লকে ২০২ নং ৪ দশমিক ৫ কাঠা জমির ওপর পাঁচটি দোকান ও টিনসেড বাড়ি এবং পূর্ব রামপুরা ১৭৭/৫/১ এলাকায় ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ জমি ওপর বাড়ি করেছেন রমিজ উদ্দিন।
এ ছাড়া ঢাকার সঙ্গে টঙ্গী ও গাজীপুরে নামে-বেনামে রমিজ উদ্দিনের ৩০ একর জমি রয়েছে। কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতেও রয়েছে কয়েক একর জমি। জেলার মুরাদনগরে স্ত্রী সালমা পারভীনের নামে রয়েছে ৫০ বিঘা জমি।
পুঁজিবাজারে এই দম্পতির নামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগ ছাড়াও নামে-বেনামে বড় অঙ্কের অর্থ বিনিয়োগ করা আছে বলে জানিয়েছেন দুদকের ওই কর্মকর্তা। এছাড়া রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গাজীপুরে জমি বিক্রি করে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাচার এবং পরে বাংলাদেশে ফেরত আনার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুদক।
২০১৮ সালের শেষ দিকে রমিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।