বউ পিটিয়ে কারাগারে হিরো আলম
স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় গ্রেফতার বগুড়ার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে বগুড়ার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করলে বিচারক আহমেদ শাহরিয়ার তারিক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে স্ত্রীকে নির্যাতনে জন্য শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে বগুড়া সদর থানা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ভাষ্যমতে, হিরো আলমের বিরুদ্ধে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। নির্যাতনে আহত তার স্ত্রী সাদিয়া বেগম ওরফে সুমিকে (২৪) মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, এর আগে শ্বশুর সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মারধর, হত্যাচেষ্টা ও পাঁচ লাখ টাকা কেড়ে নেয়ার অভিযোগ তুলে থানায় আলাদা লিখিত অভিযোগ করেন হিরো আলম।
হিরো আলম থানায় অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দিনগত রাত ৮টার দিকে স্ত্রীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহের জেরে তার শ্বশুর সাইফুল ইসলাম ও স্ত্রী সাদিয়া বেগমের নেতৃত্বে তার ওপর চড়াও হয়ে মারধর করেছে।
পরে তিনি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে স্ত্রী-শ্বশুরসহ পাঁচজনের নামে থানায় অভিযোগ দেন।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হিরো আলমের স্ত্রী সাদিয়া বেগম সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, দু’মাস পর গত সোমবার রাতে তার স্বামী হিরো আলম শহরের এরুলিয়া গ্রামে তার বাড়িতে আসেন। রাতে বিছানায় তার পাশে শুয়েই একটানা তিন ঘণ্টা মোবাইল ফোনে ঢাকার এক নারীর সঙ্গে কথা বলেন তার স্বামী।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে সোমবার রাতেই তাকে বেদম মারধর করা হয়। দ্বিতীয় বিয়ে করায় তিনি স্ত্রী-সন্তানের কোনো খবর রাখে না। সংসার খরচ দেন না। প্রতিবাদ করলেই শারীরিকভাবে তাকে নির্যাতন করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
কেবল সংযোগ বা ডিশ ব্যবসার থেকে মিউজিক ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে প্রকাশ শুরু করেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে পরিচিতি বাড়তে থাকে তার। এসব পরিচিত কাজে লাগিয়ে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি।