সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
সাইয়্যদ রবিন,
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে বিশাল সম্পদ- সুনীল অর্থনীতি (সমুদ্র অর্থনীতি)। সরকার বিশাল এ সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ‘সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
সুনীল অর্থনীতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ডাবল ডিজিটে নিয়ে যাব।’
আজ ঢাকায় হোটেল সোনারগাঁওয়ে ‘ব্লু ইকোনমি এন্ড সাস্টেইনেবল ডেভেলাপমেন্ট গোল ১৪ ঃ বাংলাদেশ পারসপেক্টিভ’ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খালিদ মাহ্মুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে সমুদ্র সীমানা দিয়ে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে সমুদ্র সম্পদের ৯০ ভাগ কাজে লাগাতে পারতাম, আর বাকি ১০ ভাগ নিয়ে আলোচনা করতাম।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দৃঢ় সংকল্প নিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। সুনীল অর্থনীতিকে কাজে লাগাতে আমাদের সকলকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন নৌপরিবহন অধিদফতর আয়োজিত এই সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম এফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অবঃ) খুরশেদ আলম।
নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন সচিব মোঃ আবদুস সামাদ এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রইছউল আলম মন্ডল।
ওয়ার্কিং সেশনে ‘মেরিটাইম এডুকেশন ফর সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ বিষয়ক পেপার উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক ক্যাপ্টেন এ কে এম শফিকউল্লাহ। এবিষয়ে আলোচনা করেন মেরিন কেয়ার লিমিটেডের কনসাল্টেন্ট ক্যাপ্টেন জিল্লুর রহমান এবং মেরিটাইম বিষয়ক আইনজীবী মহিউদ্দিন আব্দুল কাদের।
‘ক্যাপাসিটি বিল্ডিং ফর ব্লু গ্রোথ এন্ড এনহান্সড রিজিওনাল সী ট্রেড’ বিষয়ক দ্বিতীয় পেপার উপস্থাপন করেন নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম।
দ্বিতীয় পেপারের বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ এবং ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম একাডেমীর কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন জাকি আহাদ।