ব্যাংক কর্মকর্তার যাবজ্জীবন জেল
জসিম উদ্দিন,
লিগ্যাল ডেস্ক : ৪ লাখ ২ হাজার টাকা আত্মসাতের দায়ে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ফরিদপুর জজ আদালত। একই সঙ্গে ৪ লাখ ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনা শ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গতকাল দুপুরে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের হাকিম মো. মতিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তের নাম শামসুর রহমান। তিনি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলা শাখায় সহকারী কর্মকর্তা কাম ক্যাশ পদে কর্মরত ছিলেন। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হন এবং আত্মগোপন করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২০ মার্চ বেলা সোয়া ১টার দিকে শামসুর রহমান নামাজ পড়ার কথা বলে ব্যাংক থেকে বের হন। পরে তিনি আর ব্যাংকে ফেরেননি।
ওইদিন বিকালে ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মুন্সী রেজাউল রশিদ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহায়তায় অতিরিক্ত (ডুপ্লিকেট) চাবি দিয়ে ক্যাশ খুলে হিসাব মিলিয়ে দেখেন নির্দিষ্ট টাকার থেকে ক্যাশে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা কম রয়েছে।
ওইদিনই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মুন্সী রেজাউল রশিদ ডামুড্যা থানায় শামসুর রহমানকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই বছরের ৩১ অক্টোবর এ মামলা তদন্তের দায়িত্ব নেন দুর্নীতি দমন সমন্বিত ফরিদপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক কমল চন্দ্র পাল। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায়, শামসুর রহমান ওই ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব গ্রহীতা নূর জাহানের ৩০ হাজার টাকা, মতি ফকিরের ১ লাখ ৩০ হাজার, চাঁন মিয়ার ৩২ হাজার টাকাসহ মোট ২ লাখ ৩২ হাজার টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
পরে ২০১৩ সালের ৩১ জুলাই কমল চন্দ্র পাল গ্রাহক ও ব্যাংকের মোট ৪ লাখ ২ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শামসুর রহমানকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুদকের পিপি মো. মজিবুর রহমান জানান, গতকাল আদালত দুটি ধারায় শামসুর রহমানকে দোষী সাব্যস্ত করে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন।
পিপি আরো জানান, শামসুর রহমানকে দুটি সাজা একসঙ্গেই ভোগ করতে হবে। তবে তিনি ২০১২ সালের ২০ মার্চ থেকে এখনো পলাতক আছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দিনই তাকে ব্যাংকের কর্মকর্তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।