যক্ষ্মার যুগোপযোগী ওষুধ উদ্ভাবনে গবেষণা কার্যক্রম চলছে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : দেশে যক্ষ্মা রোগের যুগোপযোগী ওষুধ উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা কার্যক্রম আরও জোরদার করার উপর গুরুত্বরোপ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ এলজিইডি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষা নিরোধ সমিতি’র (নাটাব) বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নাটাবের সভাপতি মোজাফ্ফর হোসেন পল্টুর সভাপতিত্বে জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির পরিচালক অধ্যাপক শামিউল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
জাহিদ মালেক বলেন, সরকারের প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম পরিচালনার ফলে যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হার কমেছে। কিন্তু রোগ সনাক্ত করণের ক্ষেত্রটি এখনও যথেষ্ট উন্নত হয়নি। তাই এই রোগ থেকে রক্ষার জন্য জনগণকে আরও সচেতন করতে কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
যক্ষ্মা প্রতিরোধে সরকারের বিভিন্ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা কিংবা কমিউনিটি ক্লিনিক, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, গার্মেন্ট কর্মীদের চিকিৎসা কেন্দ্র, জেল খানায় যক্ষ্মার চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর ঔষধ প্রতিরোধী যক্ষ্মায় আক্রান্তদের জন্য নয়টি বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে।
তিনি বলেন, যক্ষ্মা ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। নিয়মিতভাবে নির্দিষ্ট মেয়াদে নির্দিষ্ট মাত্রার ওষুধ সেবনে মানুষের শরীরে থাকা যক্ষ্মার জীবাণু ধ্বংস হয়।
বাংলাদেশে ক্যান্সার ও কিডনী রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই রোগগুলোর চিকিৎসাও অত্যাধিক ব্যয়বহুল। কিন্তু সীমাবদ্ধ সম্পদের দেশে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়মূল্যে ক্যান্সার ও কিডনী রোগের মানসম্মত চিকিৎসা নিশ্চিত করা দুরূহ। রাজধানীতে এজন্য দুটি পৃথক সরকারি হাসপাতাল থাকলেও তা পর্যাপ্ত না। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা রোগীদের চাহিদা মেটাতে এগুলোর সুবিধা খুবই অপ্রতুল।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নির্বাচনী ইশতেহারে ক্যান্সার ও কিডনী রোগের চিকিৎসায় হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে। সে অনুযায়ী দেশের আট বিভাগে ক্যান্সার হাসপাতাল এবং জেলা হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজগুলোতে কিডনী ইউনিট স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।