ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বপ্নদ্রষ্টা : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
নাসরিন আক্তার ,
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্বপ্নদ্রষ্টা এবং বাংলাদেশের আধুনিক পরমাণু বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ।
তার নেতৃত্বেই এদেশের পারমাণবিক খাতে উন্নয়ন ও গবেষণা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাঁর তখনকার উদ্যোগের ফলে আজ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আলোর মুখ দেখেছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পুর্ণোদ্যমে উৎপাদনে গেলে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাত আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। বিজ্ঞান চর্চায় বিশেষ করে পরমাণু বিজ্ঞানে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকাস্থ অ্যাটমিক এনার্জি সেন্টার অথবা রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এর নাম ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার নামে নামকরণ করা যেতে পারে।
কে এম খালিদ আজ বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত “ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া : বাংলাদেশের আধুনিক পরমাণু বিজ্ঞানের প্রাণপুরুষ” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর সদস্য অধ্যাপক ড. সুলতানা শফি‘র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন (মূল বক্তা) থিংকট্যাঙ্ক জন্মভূমি রিসার্চ সেন্টার এর কর্মাধ্যক্ষ আসিফ কবীর।
এতে আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক বিশেষ সহকারী অধ্যাপক সেলিমা খাতুন ও বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নঈম চৌধুরী।
প্রধান অতিথি বলেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন একজন ব্যতিক্রমী নিভৃতচারী মানুষ। তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে অনাড়ম্বর জীবনযাপন করেছেন। সারাজীবন তিনি জ্ঞানার্জন ও গবেষণা করেছেন।
সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর মহাপরিচালক মো. রিয়াজ আহম্মদ এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর এর সচিব মো. আবদুল মজিদ।