জাপানি বিনিয়োগ উন্নয়নকে আরো বেগবান করবে : বাণিজ্যমন্ত্রী

জিল্লুর রহমান,

ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, জাপান বাংলাদেশে বড় উন্নয়ন সহযোগী। জাপানি বিনিয়োগ বাংলাদেশের উন্নয়নকে আরো বেগবান করবে।

আজ বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় “ডুয়িং বিজনেস উইথ জাপান” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ এ্যাসোসিয়েশন অফ সফট ওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিস (বেসিস) এবং সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) ডিভিশনের যৌথ উদ্যোগে দেশের আইসিটি খাতের অন্যতম বৃহত প্রদর্শনী তিন দিনব্যাপী ‘১৫তম বেসিস সফট এক্সপো-২০১৯’ এর প্লেনারি সেশনে এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের স্বাধীনতার পর থেকেই জাপান বাংলাদেশের উন্নযনে সহযোগিতা দিয়ে আসছে। বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের পরিবেশ বিরাজ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে।

তিনি বলেন, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সকল বাঁধা দূর করে বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে জাপানকে একটি বড় ইকোনমিক জোন বরাদ্দ দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেখানে জাপানের বিনিয়োগকারীগণ বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, জাপানের উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে বেশ কাজে লাগবে। ইতোমধ্যে দেশের অনেক বড় বড় প্রকল্পে জাপন কাজ করতে এগিয়ে এসেছে। জাইকা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে উন্নয়নের সহযোগি।

বিনিয়োগের সুবিধান জন্য বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, অবকাঠামোর উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সকল বাঁধা দূর করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

টিপু মুন্শি বলেন, আইসিটি ক্ষেত্রে জাপান অনেক উন্নত। এক্ষেত্রে জাপান বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে পারে। ইতোমধ্যে জাপান বাংলাদেশের অনেক বড় বড় প্রকল্পে কাজ শুরু করেছে। জাপানের বাজারেও বাংলাদেশে তৈরী পোশাকের বেশ জনপ্রিয়তা রয়েছে। দিন দিন জাপানে বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের চাহিদা বাড়ছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পদ্ধতি ও আনুষ্ঠানিকতা সহজ করা হয়েছে। এখন এক খানেই সকল কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব। জাপানের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগের দরজা খোলা।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাপান ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান শোলচি কোবেয়াশি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইনভেষ্টমেন্ট ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (বিডা)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম, জাপান বাংলাদেশ সোসাইটির চেয়ারম্যান ও জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত মাটসুশিরো হোরিকুচি এবং জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ-এর জেনারেল সেক্রেটারি তারেক রাফি ভূঁইয়া।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *