বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাপসে চালু হচ্ছে টিকিট বিক্রি
সাইদুর রনি,
ঢাকা, ভয়েস ডেস্ক : শীঘ্রই বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাপসের মাধ্যমে চালু হতে যাচ্ছে অনলাইন টিকিটসহ অন্যান্য সকল প্রকার সেবা। রবিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে রেল ভবনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন এ কথা জানান।
এই সেবা চালু হলে এর মাধ্যমে যাত্রীরা পছন্দের সিট নির্ধারণ, টিকিটের মূল্য পরিশোধ এবং ট্রেনের বর্তমান অবস্থান জানতে পারবেন। এছাড়াও যাত্রা শেষে সেবার মান সম্পর্কেও রেটিংও দিতে পারবেন তারা।
তিনি বলেন, ‘রেলওয়ের টিকেটিং সেবা সহজীকরণ এবং যাত্রীদের ঝামেলাহীনভাবে সকল সেবা দিতেই এই অ্যাপস চালুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। শীঘ্রই অ্যাপসটি উদ্বোধন করা হবে। অ্যাপসের সব কারিগরি কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই এটি চালু করা হবে’।
তিনি আরও বলেন, ‘এক সময় মানুষের যাতায়াতে শুধু রেল এবং নদীপথ ছিল। এখন সড়ক, নৌ, রেলপথ এবং আকাশ পথে যাতায়াতের ব্যবস্থা রয়েছে। যাতায়াতের এই চার পথকেই আরও যুগোপযোগী করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে। একটি কথা প্রচলন রয়েছে, যে দেশের রেলব্যবস্থা যত উন্নত সে দেশ তত বেশি উন্নত। আমরা রেলের সেবা বাড়াতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছি। রেলের প্রতি মানুষের ব্যাপক আস্থা আনতে যা যা করা দরকার সবই করা হবে’।
কালোবাজারি ঠেকাতে ট্রেনের টিকিট কিনতে জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রচলনের বিষয়ে তিনি জানান, ‘জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থাকে সব মানুষ খুব সাধুবাদ জানিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা দুটি ট্রেনে এই ব্যবস্থা চালু করেছিলাম। পরে সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাওয়ায় সাতটি ট্রেনে এই সেবা চালু হয়। সর্বশেষ এখন পর্যন্ত ১৬টি ট্রেনে ন্যাশনাল আইডি ছাড়া কাউকে টিকিট দেয়া হচ্ছে না। আগামীতে সব ট্রেনের টিকিট ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই ব্যবস্থা চালু করা হবে। ঈদের আগেই এই ব্যবস্থা চালু হতে পারে’।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের অ্যাপস প্রস্তুতকারকরা জানান, ‘অ্যাপসের মাধ্যমে টিকিট কেনার সময় যাত্রীরা সিট দেখতে পারবেন। কোন দূরত্বে টিকিটের মূল্য কত এবং ট্রেনের বর্তমান অবস্থান জানা যাবে এই অ্যাপসের মাধ্যমে। এমনকি যাত্রা শেষে একজন যাত্রী সেবার মান সম্পর্কেও রেটিং দিতে পারবেন। অ্যাপসের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত ট্রেনের কতগুলো টিকিট অবশিষ্ট আছে বা কতগুলো সিট এখনো ফাঁকা সে তথ্যগুলো জানা যাবে। পাশাপাশি ট্রেনের লিস্টগুলো দেখা যাবে কোন ট্রেন কোথায় যাবে। ভিসা, মাস্টার, বিকাশ জাতীয় ওয়ালেটের মাধ্যমে টিকিটের মূল্য পরিশোধ করা যাবে’।
রেল ভবনে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় রেলে কর্মকর্তারা ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সিএনএস-এর পক্ষে জিয়াউর রহমান, আনিন্দসেন গুপ্তসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।