নতুন বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের ঢাকার বাইরে পোস্টিংয়ের নির্দেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী’র
স্টাফ রিপোর্টার,
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু তার মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন অধিদফতর ও সংস্থায় নবনিয়োগকৃত বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তাদের ঢাকা এবং নিজ জেলা-উপজেলা সদরের বাইরে পোস্টিং দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রাণিসম্পদ উপখাতের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি’র (এডিপি) মূল্যায়ন সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।
প্রতিমন্ত্রী শুধুমাত্র দক্ষ ও সৎ সিনিয়র কর্মকর্তাদের ঢাকা প্রধান কার্যালয়সহ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানগুলোতে বদলির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেয়ার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। এক্ষেত্রে কোনো প্রকার তদবিরকে প্রশ্রয় না দেয়ার জন্যও তিনি সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রতিমন্ত্রী মাঠপর্যায়ের অফিসারদের অফিসে নিয়মিত উপস্থিতিসহ গাফলতিরোধে তাদের খোঁজখবর নিতে মোবাইল ফোনের বদলে ল্যান্ডফোনে যোগাযোগের জন্য মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেন।
মন্ত্রণালয় থেকে চার মাস আগে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরসহ অন্যান্য দফতরকে ২য়, ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির শূন্য পদ পূরণের নির্দেশ দেয়ার পরও নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু না করায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
সভায় প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের প্রায় ৩৪১ কোটি টাকার ১৬টি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রায় ৩১ কোটি টাকার ৬টি এবং বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকার ১টিসহ মোট ২৩ প্রকল্পের কাজের অগ্রগতির মূল্যায়ন করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩টি অধিদফতর ও সংস্থার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪৪টি প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে, যার জন্য বরাদ্দ আছে প্রায় ৮১৯ কোটি টাকা। এরমধ্যে চলতি ফেব্রুয়ারি-১৯ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে মোট প্রায় ৩৪৮ কোটি টাকা।
বিগত ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৭টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল ৯৮৯ কোটি টাকা এবং একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল সমপরিমাণ অর্থাৎ ৩৪৮ কোটি টাকা।
তবে চলতি অর্থবছরে প্রাণি উপখাতের ২৩টি প্রকলের জন্য মোট বরাদ্দ প্রায় ৩৭৯ কোটি টাকা এবং এখাতে এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৬৯ কোটি টাকা।
বিগত অর্থবছরে এই উপখাতের ২১টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ছিল প্রায় ৫০৩ কোটি টাকা এবং একই সময়ে ব্যয় হয়েছিল মোট প্রায় ২০০ কোটি টাকা।