বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাইদুর রহমান,
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আবদুল মোমেন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর আগেই সরকার বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে চায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করছে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত এক বিশেষ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুষদের ডীন অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ‘সিক্রেট ডকুমেন্টস্ অব ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অব দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ (খন্ড-১ ও খন্ড-২) বইটি বিতরণ করা হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনায় সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ড. মোমেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে অনুসরণ করে ন্যায় ও জনগণের মঙ্গল প্রতিষ্ঠায় ছাত্র-ছাত্রীদের কাজ করা এবং বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন দিক নিয়ে গবেষণার আহবান জানান।
তিনি বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশের বৈদেশিক মিশনসমূহ গত ১৭ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সারা বছর ওয়ার্কশপ, সেমিনার ও সভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে দূতাবাসসমূহকে ইতোমধ্যে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে এ ধরনের কর্মসূচি পালন করা হবে। বঙ্গবন্ধুকে জানলে দেশকে জানা হবে, দেশের ইতিহাসকে জানা যাবে।
ড. মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত দশ বছরে দেশে যে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে সেগুলো বিশ্বকে জানাতে হবে।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দেশে-বিদেশে দু’বছরব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ বিষয় জনগণকে জানানো হবে। এর মাধ্যমে জনগণকে জানানো যাবে আমরা কি অবস্থা থেকে বর্তমান অবস্থায় এসেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হঠাৎ করে একদিনের হুকুমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আসেনি। দীর্ঘ ২৪ বছরের নির্যাতন ও সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে স্বাধীনতার চেতনা সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই সৃষ্টির নায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। অনেক রাজা-বাদশা এসেছেন, কিন্তু কেউ এদেশের স্বাধীনতা আনতে পারেননি; স্বাধীনতা এনেছেন বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর বড় কীর্তি হচ্ছে বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা এবং বাংলাদেশ যতদিন টিকে থাকবে, বঙ্গবন্ধু ততদিন টিকে থাকবেন। তিনি সারা জীবন ন্যায়, নির্যাতিত ও শোষিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন।