বর্জ্যে মাছ-মুরগির খাবার তৈরির কারখানা বন্ধে হাইকোর্টের নির্দেশ
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি,
ঢাকা, লিগ্যাল ডেস্ক : ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির কারখানার কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত এক মামলায় আজ সম্পূরক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেয়। এছাড়া আদালত রুলও জারি করে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির কারখানা বন্ধে ২০১১ সালের ২১ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেয়। গত ২৫ মার্চ একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘আদালতের রায় উপেক্ষা;ট্যানারির বিষাক্ত বর্জ্যে মাছ ও মুরগির খাদ্য তৈরি থেমে নেই’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনযুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এ আবেদন করা হয়।
এডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালত আজ ট্যানারির বর্জ্য ব্যবহার করে মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির কারখানা অবিলম্বে বন্ধে ব্যবস্থ’া নিতে নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থ’া নিয়ে এক মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়। এছাড়াও এর আগে দেয়া হাইকোর্টের রায় পালন না করায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম নেয়া হবে না- এ মর্মে রুল জারি করেছে।
শিল্প সচিব, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সচিব, খাদ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয় সচিব এবং পুলিশ মহাপরিদর্শককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।