তামাকের ব্যাপারে আপোষ হীন : এনবিআর চেয়ারম্যান

সাইদুুুর রনি,

ঢাকা, লিগ্যাল ভয়েস : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেছেন তামাকের ব্যাপারে কোন আপোষ নেই।
তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রয়েছে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার, সুতরাং তামাকের ব্যাপারে আমরা আপোষ হীন।”
কার্যকর তামাক করের দাবিতে আজ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাথে অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্স (আত্মা ) এর এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সভায় প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন আতœার কনভেনর মর্তুজা হায়দার লিটন, কো-কনভেনর নাদিরা কিরণ ও মিজান চৌধুরী, সাংবাদিক মনির হোসেন লিটন, কাওসার রহমান, মীর মাশরুর জামান রনি , দৌলত আক্তার মালা প্রমুখ।

এ সময় আতœার পক্ষ খেকে বলা হয় বাংলাদেশে তামাকপণ্যের দাম সস্তা এবং ক্রমশ আরও সস্তা হচ্ছে। এছাড়া বিদ্যমান তামাক কর-কাঠামো অত্যন্ত জটিল। একাধিক মূল্যস্তর এবং বিভিন্ন দামে তামাকপণ্য ক্রয়ের সুযোগ থাকায় তামাকের ব্যবহার হ্রাসে কর ও মূল্যপদক্ষেপ সঠিকভাবে কাজ করছেনা।

পাশাপাশি তামাক কোম্পানিগুলো উচ্চস্তরের সিগারেট নিম্নস্তরে ঘোষণা দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে উল্লেখ করে তারা বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে তামাক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি মানুষ ধোঁয়াবিহীন তামাক পণ্য (জর্দ্দা ও গুল) ব্যবহার করেন, অথচ মোট তামাক রাজস্বের মাত্র ০.২ শতাংশ আসে ধোঁয়াবিহীন তামাক থেকে।

তামাকপণ্যে করারোপে এ প্রাক-বাজেট বৈঠকে ২০১৯-২০ বাজেট প্রস্তাব হিসেবে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, এসব সুপারিশ গৃহীত হলে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী (১.৩ মিলিয়ন সিগারেট ধূমপায়ী এবং ১.৯ মিলিয়ন বিড়ি ধূমপায়ী) ধূমপান ছেড়ে দিতে প্রণোদিত হবে।

অন্যদিকে সিগারেটের ব্যবহার ১৪ভাগ থেকে কমে প্রায় ১২.৫ ভাগ এবং বিড়ির ব্যবহার ৫ ভাগ থেকে কমে ৩.৪ ভাগ হবে । দীর্ঘমেয়াদে ১ মিলিয়ন বর্তমান ধূমপায়ীর অকাল মৃত্যু রোধ করা সম্ভব হবে এবং ৬ হাজার ৬৮০ কোটি থেকে ১১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকার (জিডিপি’র ০.৪ শতাংশ পর্যন্ত) অতিরিক্ত রাজস্ব অর্জিত হবে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *