রিটার্ন দাখিলে পেশাজীবিদের সহায়তা চায় এনবিআর চেয়ারম্যান

সাইদুর রনি,

লিগ্যাল ভয়েস : সকল ইলেকট্রনিক কর সনাক্তকরণ নম্বরধারীর (ইটিআইএন) আয়কর বিবরণী (রিটার্ন) দাখিল নিশ্চিত করতে কর আইনজীবি ও সনদধারী হিসাববিদসহ সংশ্লিষ্ট পেশাজীবিদের সহযোগিতা চেয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।

তিনি বলেন, ‘অনেক ইটিআইএনধারী রিটার্ন দাখিল করেন না। তারা যাতে রিটার্ন দাখিল করেন বা তাদেরকে করের আওতায় আনা যায়,সেক্ষেত্রে পেশাজীবিরা সহযোগিতা করতে পারেন। তাই সকল ইটিআইএনধারীর রিটার্ন দাখিল নিশ্চিত করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই।’
বর্তমানে ৩৮ লাখ ইটিআইএনধারীর মধ্যে রিটার্ন দাখিল করেন মাত্র ২০ লাখ।
সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলনকক্ষে আসন্ন ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

আলোচনায় কর আইনজীবি, সিএন্ডএফ, শিপিং ফ্রেইট ফরওয়ার্ডিং, আইসিএমএবি, আইসিএবি, স্থপতি, ইন্সটিটিউট অব চাটার্ড সেক্রেটারিয়েটসহ সহায়ক পেশাজীবিদের সংগঠনসমূহ অংশগ্রহণ করে।

মোশাররফ হোসেন ভূইয়া পেশাজীবিদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে করজাল সম্প্রসারণের প্রানান্তকর চেষ্টা রয়েছে। কিন্ত পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় অনেক সময় আমরা সবকিছু করতে পারি না। সেক্ষেত্রে আপনারা আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন। করজাল সম্প্রসারণে আপনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’

তিনি বলেন,দেশের অগ্রগতি-উন্নতির জন্য বেশি রাজস্ব প্রয়োজন। তাই যত বেশি রাজস্ব আহরণ করা যাবে,তত পরিকল্পিত উন্নয়ন করা সম্ভব হবে। সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্য অনুযায়ী রাজস্ব আহরণে আপনারা করদাতাদের সঠিকভাবে কর পরিশোধের পরামর্শ দেবেন।

প্রাক-বাজেট আলোচনায় ঢাকা ট্যাকসেস বার এসোসিয়েশন ব্যক্তিশ্রেণীর করমূক্ত আয়সীমা আড়াই লাখ টাকার পরিবর্তে তিন লাখ টাকা করা এবং ব্যক্তিশ্রেণীর নীট পরিসম্পদের মূল্যমান সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করে।
সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়,শিল্প স্থাপনের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ১ বছরের মধ্যে আমদানি করার বিধান রয়েছে। সেটা সংশোধন করে আমদানি করার সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তারা।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *