ভ্যাট নিবন্ধন ছাড়া ব্যবসা করা যাবে না : এনবিআর চেয়ারম্যান

সাইদুর রনি,

লিগ্যাল ভয়েস : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) নিবন্ধন বা ইলেকট্রনিক বিজনেস আইডেনটিফিকেশন নম্বর (ই-বিআইএন) ছাড়া কোন ব্যবসা পরিচালনা করা যাবে না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূইয়া।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবন সম্মেলনকক্ষে প্রাক-বাজেট আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বাজেট আলোচনায় বাংলাদেশ পেপারস মিল এসোসিয়েশন,রেস্তোরা মালিক সমিতি,হাইজিন পণ্য প্রস্তুতকারক সমিতি,বায়রা, কুরিয়ার সার্ভিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ,মানি চেঞ্জার এসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন,‘নিবন্ধন হওয়ার পর কোন প্রতিষ্ঠানের জন্য খাতভিত্তিক ভ্যাট হার নির্ধারণ করা হবে। যারা রেয়াত পাবেন তাদের হার ১৫ শতাংশ হবে। অন্যদের জন্য আদায়যোগ্য সহনীয়মাত্রায় ভ্যাটের হার নির্ধারণ করা হবে।’
রেস্তোরা মালিক সমিতির মহাসচিব রেজাউল করিমের বাজেট প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে মোশাররফ হোসেন বলেন, একেবারে ক্ষুদ্র পর্যায়ের রেস্তোরা বাদে সব ধরনের রেস্তোরায় ভ্যাট বাধ্যতামূলক হবে।তবে আন্তর্জাতিক মানের যেসব রেস্তোরা রয়েছে,সেগুলোর ভ্যাট ১৫ শতাংশই থাকবে। এছাড়া দেশীয় মাঝারি আকারের রেস্তোরার ভ্যাটের হার যৌক্তিভাবে নির্ধারণ করা হবে। রেস্তোরার শ্রেণীকরণের উদ্দেশ্য এনবিআর একটি কমিটি গঠন করবে বলে তিনি জানান।

রেজাউল করিম জানান,সব রেস্তোরা এক বিবেচনায় নেয়ার কারণে দেশীয় ছোট আকারের রেস্তোরার জন্য ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে করারোপ প্রসঙ্গে এনবিআর চেয়ারসম্যান বলেন,‘আগামী বাজেটে আয়কর সুষম করার চেস্টা করব। শিল্পায়নকে গুরুত্ব দিয়ে আমদানি শুল্ক ঢেলে সাজানোর চেস্টা করছি। তবে কিছু কিছু খাতে দীর্ঘদিন প্রণোদনা দিলেও তারা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারছে না। প্রণোদনা দীর্ঘদিন অব্যাহত থাকলে বাজারে প্রতিযোগিতা তৈরি হবে না।

এ জন্য দেশীয় শিল্পের সুরক্ষায় দেয়া প্রণোদনার মেয়াদ ও সুবিধা সুনির্দিষ্ট করা হবে।’
বাংলাদেশ পেপারস মিল এসোসিয়েশনের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস বলেন,দেশীয় ১০৫টি পেপার মিল থেকে উৎপাদিত কাগজ দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রফতানি হচ্ছে। তবে কাঁচামাল আমদানিতে আমরা কোন সুবিধা পাচ্ছি না।

অন্যদিকে বন্ড সুবিধায় আমদানিকৃত কাগজ খোলা বাজারে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। আমদানির ক্ষেত্রে আন্ডার ইনভয়েসের কারণে তাদের সঙ্গে দেশে উৎপাদিত কাগজ প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। তাই দেশীয় কাগজের ভ্যাট হার কমানো ও ট্যারিভ ভ্যালু উঠিয়ে দেয়ার প্রস্তাব করেন তিনি।

এর প্রেক্ষিতে মোশারফ হোসেন বলেন,‘বন্ডের অপব্যবহার কঠোর হাতে দমন করছি। অনেক ব্যবসায়ী আছেন যারা বন্ড সুবিধায় আমদানি করা কাগজ বন্দর থেকে সরাসরি খোলা বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা এগুলো নিয়ে কাজ করছি।’

তিনি বলেন,বিভিন্ন কুরিয়ার কোম্পানির ৯০ শতাংশ পত্র গ্রাহকের কাছে পৌঁছায় না।তাদের অফিসে এসে নিতে হয়।এই অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *