বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা হবে : টিপু মন্সী
ভূঁইয়া আসাদুজ্জামান ,
লিগ্যাল ভয়েস : বাণিজ্য সংক্রান্ত নীতি ও কার্যক্রমে অধিকতর স্বচ্ছতা অনুশীলন করার লক্ষে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) অন্যান্য দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশের বাণিজ্য নীতি পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ৩ ও ৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় বাংলাদেশের ৫ম ট্রেড পলিসি রিভিউ (টিপিআর) সভার বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এসময় বাণিজ্য সচিব মো. মফিজুল ইসলাম,বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ২২ এপ্রিল চেকোস্লোভাকিয়ার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তাদের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে গেছে।
তিনি জানান, একইসঙ্গে শিগগিরই ইউরেশিয়ান ইকোনমিক ইউনিয়নের (ইইইউ) সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হবে। রাশিয়াসহ ইউনিয়নের (রাশিয়া, বেলারুশ, ইউক্রেন, আজারবাইজান ও আরমানিয়া) পাঁচটি দেশ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা ব্রাজিলের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করার উদ্যোগ গ্রহণ করব। কারণ ব্রাজিল ২৫ কোটি মানুষের দেশ। ওখানে তৈরি পোশাকের বাজারে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে চায়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ববাণিজ্যে সফলতা লাভের জন্য এবং এলডিসি (নিম্ন আয়ের দেশ) হতে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের ট্রেড পলিসি সময়োপযোগী করা হয়েছে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট জন্য সরকার বিনিয়োগ বান্ধব নীতিগ্রহণ করেছে।
টিপু মুনশি বলেন, বর্তমানে আমরা নিম্ন মূল্যের পণ্য রফতানি করে থাকি। আগামী উচ্চমূল্যের পণ্য রফতানির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পরিবেশ, ট্রেড পলিসি এবং সেক্টরাল পলিসিতে যে উন্নয়ন ও সংস্কার করা হয়েছে সে বিষয়ে ডব্লিউটিও সেক্রেটারিয়েট এবং বাংলাদেশ সরকার পৃথক দু’টি রিপোর্ট প্রস্তুত করে ডব্লিউটিও’র সদর দফতর থেকে ইতোমধ্যে সদস্যভুক্ত ১৬৪টি দেশে পাঠানো হয়েছে। এতে করে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ১ বিলিয়ন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয়দানের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও নিরাপত্তার বিষয়টি ঝুঁকিপূর্ণ হবে- এ বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যু ও নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে ডব্লিউটিও দেশভুক্ত দেশসমূহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেছে বলে তিনি জানান।