মিডিয়া দুদেশের সার্বিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

কুটনৈতিক প্রতিবেদক,

লিগ্যাল ভয়েস : ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙুলী বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মিডিয়ার মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি দুদেশের সার্বিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
আইআইএমসি এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
শনিবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যাস কমিউনিকেশন্স (আইআইএমসি) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-এর এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সভাপতি ইহসানুল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি প্রসাদ সান্যাল ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের সহসভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া বক্তৃতা করেন।

রিভা গাঙ্গুলি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত দু’দেশেই শক্তিশালী প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া রয়েছে। সাধারণ জনমত তৈরি এবং দেশের মানস গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা কোনোভাবেই খাটো করে দেখা যায় না।
তিনি বলেন, উভয় দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিনিময় এবং বিকাশে দুদেশের মিডিয়ার মধ্যে আরো বেশি সম্পৃক্ততা থাকা উচিত।
নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় প্রায় ১২ শ ভারতীয় সৈনিক শাহাদত বরণ করেছেন। সেময় ভারত এককোটির বেশি বাংলাদেশিকে আশ্রয় দিয়েছিলো।

তিনি বলেন, আইআইএমসি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ ও ভারতের উন্নয়নে
বিদ্যমানচমৎকার সম্পর্ক আরো জোরদার করতে দুদেশের সাংবাদিকদের জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে।

ইহসানুল করিম বলেন, দুদেশর মধ্যে এমন সুন্দনর সম্পর্ক নিশ্চিত করা সহজ ছিলো না। এটি সম্ভব হয়েছে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাস্তবানুগ ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং ভারতের দিক থেকে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তার পূর্বসূরি নেতৃবৃন্দের কারণে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *