উপজেলা নির্বাচনে পুলিশ-প্রশাসন সহযোগীতা করেছেন : এইচ টি ইমাম
রানা চৌধুরী,
লিগ্যাল ভয়েস : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। পক্ষান্তরে আয় হয়েছে এক কোটি ২৬ লাখ টাকা। গত রবিবার নির্বাচন কমিশনে (ইসি) নির্বাচনে ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে দলটি।
আওয়ামী লীগের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের নেতৃত্বে দলটির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে এ হিসাব জমা দেন। ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে ব্যয়ের রিটার্ন জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা চালু হয়।
ব্যয়ের রিটার্নিং দাখিলের পর এক প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, উপজেলা নির্বাচনে আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন এবং এই বার্তাটি সবার কাছে চলে গেছে যে, প্রশাসন এবং পুলিশের কেউই কোনো রকম কোনো নির্বাচনে কোনো প্রভাবতো খাটাবেই না এবং তারা একেবারে নিরপেক্ষভাবে পক্ষপাতহীনভাবে নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবেন।
এই কাজটি তারা করেছেন এবং নির্বাচন কমিশন সে জন্য সন্তুষ্ট। ইসি সূত্র জানিয়েছে, গত তিন জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ব্যয় কমেছে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটির ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৫ লাখ ৫৭ হাজার টাকা। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯২ হাজার ৭১২ টাকা। আর নবম সংসদ নির্বাচনে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৪ টাকা নির্বাচনী ব্যয়ের হিসাব ইসিতে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ।
একাদশ সংসদ নির্বাচনের দলীয় ব্যয় রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার, সেলিম মাহমুদ প্রমুখ।
সিইসির কাছে দলের ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর এইচ টি ইমাম সাংবাদিকদের জানান, নবম ও দশম সংসদ নির্বাচনে আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে যথাসময়ে ব্যয়ের বিবরণী জমা দেওয়া হয়েছে। এবারও কমিশনে ব্যয়ের হিসাব দাখিল করা হয়েছে। ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালে নির্বাচনি ব্যয় কিছুটা বেড়েছিল। এবার কমেছে।
ব্যয় কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, এবারে আমাদের একটি জিনিস উল্লেখযোগ্য- অন্যান্য বছর আমরা অনেক সময় দলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এবারে আর সেটি করা হয়নি। সেদিক থেকে আমাদের ব্যয় কম। আবার এবারে আমরা আয় পেয়েছি বেশি, অনেকেই অনুদান দিয়েছেন। উপজেলা নির্বাচনে অনেক সংসদ সদস্য নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ভোট চেয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলীয় প্লাটফর্মে বিষয়টি নিয়ে আলোাচনা হয়েছে।
দু’টি বিষয় আছে- এখানে একটি হলো নির্বাচনি আইন যদি কেউ ভঙ্গ করে থাকেন, সেটাতো নির্বাচন কমিশন আমাদের অনেককেই এমনকি দুই একজন মন্ত্রীকে সতর্ক করে দিয়েছেন। এমপিদের অনেককেও সতর্ক করে দিয়েছেন। এটা নির্বাচনি আইন ভঙ্গের জন্য্। আর দ্বিতীয়ত দলের পক্ষ থেকে- একজন নৌকার প্রার্থী হলেও আবার একইসঙ্গে বলে দেওয়া হয়েছিল যে, অন্যরাও নির্বাচন করতে পারেন। এটা কিভাবে নেবেন তা দলে আলোচনা হয়েছে। দলের অনেকের কাছে হয়তো ব্যাখ্যাও চাওয়া হয়েছে।