ঘূর্ণিঝড় ফণীতে প্রাণহানির কোনো আশঙ্কা নেই : ডা. এনাম
লোপা রাকিব,
লিগ্যাল ভয়েস : বাংলাদেশে আঘাত হানতে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ফণীতে প্রাণহানির কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। আজ শুক্রবার খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এই সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী জানান, আমাদের যে প্রস্তুতি তাতে একটি প্রাণহানিরও আশঙ্কা নাই। অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৯টি জেলায় ৪ হাজার ৭১টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত আছে। এসব এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা ২২ থেকে ২৫ লাখ লোককে আজ বিকাল ৫টার মধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে। তবে ঝড়ের বাতাসের গতিবেগ যদি ২০০ কিলোমিটারের বেশি হয় তাহলে খুলনা অঞ্চলের ১১ হাজার হেক্টর জমির ফসল রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
ফণির প্রস্তুতির বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী জানান, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবেলায় ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫৬ হাজার কর্মী, নৌবাহিনী, পুলিশ, কোস্টগার্ড, আনসার, ফায়ারসার্ভিস, রেড ক্রিসেন্ট, স্কাউট, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জেলা প্রশাসন প্রস্তুত আছে। তারা জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্র নেওয়ার কাজ যুক্ত রয়েছে। উপকূলীয় এলাকায় শুক্রবার সকাল ১০টায় শুরু হয়ে বেলা ১২টা পর্যন্ত ৪ লাখ ৪ হাজার ২২৫ জনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। বিকাল ৫টা মধ্যে সবাইকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া সম্ভব হবে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, জনগণকে আশ্রয়কেন্দ্র নেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে–প্রতিবন্ধী, গর্ভবতী মা ও শিশুদের। প্রতিবন্ধীদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্রে আলাদা কক্ষ রাখা হচ্ছে। ডিসিদের কাছে বাড়তি ১০ লাখ টাকা ও খাবার বরাদ্দ দেওয়া আছে। ২০০ টন করে জিআর চাল দেওয়া আছে। শুকনো খাবারের প্যাকেট দেওয়া হয়েছে ৪৫ হাজার। একটা প্যাকেটে একটি পরিবারের পাঁচ জন সদস্যের উপযোগী খাবার দেওয়া আছে।
তিনি জানান, আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সৌরবিদ্যুতের মাধ্যমে আলো দেওয়া হচ্ছে। যেখানে সৌর প্যানেল নাই, সেখানে হ্যাজাক লাইটের মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আবার সংবাদ সম্মেলন করবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী।
এ সময় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, আবহাওয়া অধিদফতরের সচিব সামসুদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন