সনদ ছাড়াই ওকালতি, ধরা খেয়ে কারাগারে
কোর্ট প্রতিনিধি,
লিগ্যাল ভয়েস : পাঁচ বছর শিক্ষানবীশ আইনজীবী এবং দুই বছর আইনজীবী হিসেবে কাজ করা উচ্চ মাধ্যমিক পাস এক নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর হাকিম দেব দাস চন্দ্র অধিকারী কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দিয়েছেন। এর আগে মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করে ঢাকা সিএমএম আদালতে হাজির করেন কোতয়ালী থানার এসআই মোহাম্মাদ মোবারক হুসেন ভূঞা।
জানা যায়, সাত বছর আগে এলএলবি পাস করে বার কাউন্সিলে সদস্যভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন জানিয়ে শিক্ষানবীশ আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেন। ২০১৮ সালে বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে সনদ পেয়েছেন মর্মে প্রচার করে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে আইনজীবী হিসেবে আইন পেশা শুরু করেন। পাসের সংবাদ পেয়ে খুশিতে মহিলা আইনজীবী কমনরুমে পাঁচ কেজি মিষ্টিও খাওয়ান। এইচএসসি ওই নারী এভাবেই নারী-পুরুষ সকল আইনজীবীকে ফাঁকি দিয়ে আইন পেশা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি।
গত রবিবার তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির টাউট উচ্ছেদ কমিটির হাতে ধারা পড়েন। আইনজীবী হিসেবে মিথ্যা পরিচন দান এবং জাল জালিয়াতির অভিযোগে সমিতির পক্ষ থেকে সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান জুয়েল কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডি থানাধীন ১২/এ, ধানমণ্ডি-৩২ এর বাসিন্দা জহিরুল হকের মেয়ে রিমি জাহান (২৯)। তিনি সুফিয়া খানম রিমি (মৌ) নাম ধারণ করে অন্য আইনজীবীর সদস্য নম্বর ব্যবহার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে আইনজীবীর পরিচয়পত্র তৈরি করেন। ওই পরিচয়ে তিনি দীর্ঘদিন বিচারপ্রার্থী নিরীহ জনগণের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে আসছিলেন।
জানা গেছে, রিমি গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ঢাকা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের সদস্য হিসেবেও কাজ করেছেন। এছাড়া তিনি কয়েক বছর ধরে প্রার্থীদের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণাও করে আসছিলেন। তিনি আইনজীবী হিসেবে কোট-গাউন পরে মামলার শুনানিও করতেন।
এ সম্পর্কে মামলার বাদী মেহেদী হাসান জুয়েল জানান, এইচএসসি পাস করেই তিনি নিজেকে এলএলবি পাস বলে বেশ কয়েক বছর আগে আইন অঙ্গনে আছেন।
২০১৮ সালে বার কাউন্সিল থেকে পাস করেছেন মর্মে প্রচার করে জাল জালিয়াতির মাধ্যমে পরিচয়পত্র তৈরি করেন। তিনি পরিচয়পত্রে ঢাকা বারের আইনজীবী সদস্য সোফিয়া খামনের সদস্য নম্বর ২২৭৯০ ব্যবহার করে পরিচয়পত্র তৈরি করেন।