চট্টগ্রাম বন্দরে তিনটি কন্টেইনারে হুইল চেয়ার এবং ওয়াকারের পরিবর্তে বস্তাভর্তি ইট !
গোফরান চৌধুরী,
লিগ্যাল ভয়েস : চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে আমদানি করা তিনটি কন্টেইনারে হুইল চেয়ার এবং ক্র্যাচ প্ল্যাস ওয়াকারের পরিবর্তে পাওয়া গেল বস্তাভর্তি ইট। অথচ হুইল চেয়ার এবং ক্রাস প্ল্যাস ওয়াকার ঘোষণা দিয়ে কন্টেইনারগুলো বন্দরে এনেছিল ঢাকার লোটাস সার্জিক্যাল নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। আর এই আমদানিকারকের পক্ষে পণ্য চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল নর্থ বেঙ্গল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠান।
কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কন্টেইনার তিনটি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া হয়।কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সি স্পেন নামক জাহাজে করে কন্টেইনার তিনটি গত ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে। কন্টেইনারগুলোর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করতে আমদানিকারকের পক্ষে সংশ্লিষ্ট সিএন্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুতি নেয়ার চিঠি দেয়া হয়।
গতকাল মঙ্গলবার কায়িক পরীক্ষা ঘোষণা বহির্ভূত এ পণ্য পাওয়া যায়।
এতে ১০০৭টি হুইল চেয়ার ও ৪৫০ পিস ক্রাস প্ল্যাস ওয়াকারের ঘোষণা ছিল। একটি কন্টেইনারে কেবল ৪০টি হুইল চেয়ার পাওয়া গেছে। বাকিগুলোতে বস্তাভর্তি ইট পাওয়া রয়েছে। এ ঘটনায় আমদানিকারকের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং আইনে মামলা করা হবে জানিয়ে কাস্টমস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আমদানিকারকের বক্তব্য এখনো পাওয়া যায়নি।
সিএন্ডএফ মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা নানা ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। তারা বলছেন, আগে কখনো এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। তবে এর সঠিক কোনো ব্যাখ্যা দিতে পারেনি। তাই মুদ্রা পাচার আইনে মামলা হবে।