ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাসের অভিযুক্ত কর্মচারীকে দেশে ফেরানো হচ্ছে
নিউইয়র্ক প্রতিনিধি
লিগ্যাল ভয়েস : স্ত্রীকে পেটানোর অভিযোগে ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে এক কর্মচারী দেশে ফিরিয়ে নিচ্ছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (স্টেট ডিপার্টমেন্ট) বেধে দেওয়া সময় ১০ মে’র মধ্যে স্ত্রী-পরিবার নিয়ে তাকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওয়াশিংটন ডিসি দূতাবাসের মিনিস্টার প্রেস শামীম আহমেদ।
অভিযুক্ত কর্মচারী হলেন- দূতাবাসের পাসপোর্ট ও ভিসা উইংয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দেলোয়ার হোসেন। তাকে দেশে ফেরানো ঠেকাতে স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে বাংলাদেশ দূতাবাস দেনদরবার করে। তবে তাতে কোনো ফল হয়নি।
স্টেট ডিপার্টমেন্ট সাফ জানিয়ে দেয়, দেলোয়ারকে অবশ্যই স্ত্রী-পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে। স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, তদন্তে দেলোয়ারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে। এ জন্য তাকে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
শামীম আহমেদ জানান, দেলোয়ারের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা-সংক্রান্ত অভিযোগকে ‘ফৌজদারি অভিযোগ’ আখ্যা দিয়ে তার কূটনেতিক দায়মুক্তি প্রত্যাহার করা হয়। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিতে অথবা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাহারের জন্য মধ্য এপ্রিলে চিঠি পাঠায় স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
চিঠির জবাবে দূতাবাস স্টেট ডিপার্টমেন্টকে জানায় যে, ঘটনার জন্য দেলোয়ার ও তার স্ত্রী উভয়ই লজ্জিত এবং আগামীতে তারা এমন আচরণ না করার অঙ্গীকার করেছেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়। তবে স্টেট ডিপার্টমেন্ট এতে রাজি হয়নি।
শামীম আহমেদ বলেন, প্রেষণে ওয়াশিংটন দূতাবাসে নিয়োজিত পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মচারী দেলোয়ারকে প্রত্যাহার করে নিতে জরুরি আদেশ ইস্যু করতে গত ৩ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব বরাবর চিঠি পাঠানো হয়। মঙ্গলবার সচিবের স্বাক্ষরিত প্রত্যাহারপত্র মিশন পেয়েছে। এতে দেলোয়ার হোসেনকে তার মূল কর্মস্থলে ১২ মে’র মধ্যে যোগদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।