খাদ্যে ভেজাল ও বিষাক্তকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি
মোহাম্মদ শাহনেয়াজ,
লিগ্যাল ভয়েস : ইফতারিসহ সব খাদ্যে ভেজাল ও বিষাক্তকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন সংগঠন। এতে নিজের ও সন্তানেরসহ সকল শিশু ও মা এবং জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদেরকে ইফতারিসহ সকল খাদ্যে বিষ ও ভেজাল মিশানো থেকে বিরত থাকার আহবান জানান হয়।
বেলা ১১টায় পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা), নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ) ও পল্লীমা গ্রীণসহ ১৫টি সমমনা সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এক মানববন্ধনে এই আহবান জানানো হয়। চকবাজার জামে মসজিদের সামনে ‘মোবাইল কোর্টই যথেষ্ট নয়; ইফতারিসহ খাদ্য ভেজাল ও বিষাক্তকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধনে নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ ফোরাম (নাসফ)-এর সভাপতি ও পবা’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান ময়নার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন পবা’র চেয়ারম্যান আবু নাসের খান, সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সোবহান, পল্লীমা গ্রীণ-এর চেয়ারম্যান মো. লুৎফর রহমান, বানিপা’র সাধারণ সম্পাদক এম এ ওয়াহেদ, পল্লীমা সংসদের সাধারণ সম্পাদক আউয়াল কামরুজ্জামান ফরিদ, পরিবেশ আন্দোলন মঞ্চের সভাপতি মো. আমির হাসান মাসুদ প্রমুখ।
নিজের ও সন্তানেরসহ সকল শিশু ও মা এবং জনগণের সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সর্বস্তরের ব্যবসায়ীদেরকে ইফতারিসহ সকল খাদ্যে বিষ ও ভেজাল মিশানো থেকে বিরত থাকার আহবান জানান।
বক্তারা বলেন, ইফতারিতে যেসমস্ত খাদ্যপণ্য বেশি ব্যবহৃত হয় সেগুলোর উৎপাদন, আমদানি, মজুতকরণ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বেড়ে যায়। অসাধু শিল্পপতি, উৎপাদনকারী, কৃষক, ব্যবসায়ী, আমদানিকারক, মজুতদার, পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতা অধিক মুনাফার লোভে এসব খাদপণ্যে ক্ষতিকর বিষাক্ত রাসায়নিক ও ভেজালের মিশ্রণ করে থাকে।
বিষাক্ত খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে কোটি-কোটি মানুষ অসুস্থ হচ্ছে এমনকি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে যা নিরব গণহত্যার সামিল বলে উল্লেখ করে তারা বলেন, এ অবস্থা চলতে থাকলে ধীরে-ধীরে আমরা পংঙ্গু জাতিতে পরিণত হবে। তাই মোবাইল কোর্টের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট আইনসমূহের কঠোর প্রয়োগ, দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান, বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ আদায় এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে হবে।
ফরমালিন নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৫, নিরাপদ খাদ্য আইন, ২০১৩ এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ প্রণয়ন করেছে তা কার্যকর করতে সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।