বাংলাদেশ দুর্নীতি দমনে অঙ্গীকারাবদ্ধ : আইনমন্ত্রী
সাইয়্যদ মো: রবিন,
ভিয়েনা, অস্ট্রিয়া, লিগ্যাল ডেস্ক : আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, দুর্নীতি দমন করতে বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ। এর ফলে দেশে উত্তরোত্তর দুর্নীতি দমন হচ্ছে। আমরা আশা করি আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের দুর্নীতি মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ সমর্থন থাকবে।”
মন্ত্রী অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জাতিসংঘের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইউএনসিএসি’র ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিও গ্রুপ (আইআরজি)’র ১০ম সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশের ভিয়েনা মিশনের পক্ষ থেকে শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, “আমি এখানে উল্লেখ করতে চাই ইউএনসিএসি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য যেসব আইন রয়েছে সেগুলো হলো প্রিভেনশন অব কোরাপশন এক্ট-১৯৪৭, ক্রিমিনাল ল এমেন্ডমেন্ট এক্ট-১৯৫৮, দি এন্টি-কোরাপশন এক্ট-২০০৪, দ্যা রাইট টু ইনফরমেশন এক্ট-২০০৯, দ্যা হুইসটল ব্লোয়ার এক্ট- ২০১১, দ্যা মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন এক্ট-২০১২, দ্যা মিউচুয়াল লিগাল এসিস্ট্যান্স ইন ক্রিমিন্যাল মেটার এক্ট-২০১২, দ্যা এক্সট্রেডিশন এক্ট-১৯৭৪, দ্যা পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট এক্ট-২০০৬। ”
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও তথ্য কমিশন গঠন করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়তে মন্ত্রী পরিষদ ন্যাশনাল ইন্টিগ্রিটি স্ট্রাটেজি (এনআইএস) গ্রহণ করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (এসিসি) ইউএনসিএসি চ্যাপ্টার-২ দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) মানি লন্ডারিং প্রিভেনশন ও সম্পদ জালিয়াতি রোধে বিভিন্ন সংস্থা ও কর্মকর্তাদের জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
জনসচেতনতা কর্মসূচি ন্যায়পরায়নতা ও সততা সৃষ্টি করতে ৯ মহানগর সিটি, ৬২ জেলা ও ৪২১ উপজেলায় দুর্নীতি দমন কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওনেস্টি ও ইন্টেগ্রিটি ইউনিট দেশব্যাপী স্কুল, কলেজসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও গঠন করা হয়েছে বলে তিনি তুলে ধরেন।