শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে পরাজিত বাংলাদেশ
লিগ্যাল ডেস্ক : বিশ্বকাপের আগে নিজেদের শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতের কাছে ৯৫ রানে হেরে গেছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ৩৬০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪৯.৩ ওভারে ২৬৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন লিটন দাস।
লিটন দাস ও সৌম্য সরকার ওপেনিং জুটিতে ৪৯ রান তোলার পর প্রথম উইকেট হারায় টাইগাররা। ২৯ বল মোকাবেলায় তিন বাউন্ডারি ও এক বাউন্ডারিতে ২৫ রান করে জসপ্রিত বুমরাহর প্রথম শিকার হন সৌম্য। তবে এক প্রান্ত আগলে রাখেন লিটন। সৌম্যর বিদায়ের পর সাকিব আল হাসান মাঠে নেমে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বুমরাহর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। তখনও দলীয় রান ৪৯। এরপর মুশফিকের সাথে ১২০ রানের জুটি গড়েন লিটন। এরপর দলীয় ১৬৯ এবং ব্যক্তিগত ৭৩ রানে যুজবেন্দ্রা চাহালের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন। ৯০ বল মোকাবেলায় ১০টি বাউন্ডারি মারেন তিনি। লিটন বিদায় নেয়ার পর আর কেউ মুশফিককে যথার্থ সঙ্গ দিতে পারেনি।
মাহমুদুল্লাহ ৯, সাব্বির ৭ এবং মিথুন শূন্য রানে আউট হন। দলীয় ২১৬ এবং ব্যক্তিগত ৯০ রানে মুশফিককে কুলদীপ যাদব শিকার করলে মূলত টাইগারদের সব আশা শেষ হয়ে যায়। ৯৪ বল মোকাবেলায় ৮টি চার ও ২টি ছক্কা হাকান মুশফিক। শেষ দিকে মেহেদি হাসান মিরাজের ২৭ এবং সাইফউদ্দিনের ১৮ রানের সুবাদে ২৬৪ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
কুলদীপ যাদব ও চাহাল ৩টি করে এবং বুমরাহ ২ উইকেট শিকার করেন।
এর আগে কার্ডিফে অনুষ্ঠিত বৃষ্টি বিঘিœত ম্যাচে টসের বিপরীতে আগে ব্যাটিং করে কেএল রাহুল ও এমএস ধোনির জোড়া সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩৫৯ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলটি।
টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধন্তটি যথার্থ প্রমাণ করেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ১ রানে থাকা শিখর ধাওয়ানকে বোল্ড করেন মুস্তাফিজ। তারপরও বেশ ভালভাবেই ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরে বাংলাদেশী বোলাররা। ১০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৩৪ রান। কিছুক্ষণ পর দলীয় ৫০ ও ব্যক্তিগত ১৯ রানে রোহিত শর্মা শিকার হন পেসার রুবেল হোসেনের। তিন নম্বরে নামা ভারতীয় অধিনায়ক ৪৬ রানে শিকার হন সাইফউদ্দিনের। তবে এরপর বাংলাদেশী বোলারদের নিয়ে ছেলে-খেলা করেছেন রাহুল ও ধোনি।
শেষ পর্যন্ত ৯৯ বলে ১২টি বাউন্ডারি ও ৪টি ওভার বাউন্ডারিতে ১০৮ রান করে অকেশনাল বোলার সাব্বির রহমানের শিকার হন রাহুল। ইনিংস শেষ হওয়ার চার বল বাকি থাকতে সাকিবের শিকার হওয়া ধোনি করেন ১১৩ রান। ৭৮ বল মোকাবেলায় ৮টি বাউন্ডিারি ও ৭টি ওভার বাউন্ডিারি হাকিয়ে সাকিবের সরাসরি বোল্ড আউটের শিকার হন ‘মি: কুল’ খ্যাত ভারতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।
বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নেন রুবেল ও সাকিব।