যুক্তরাজ্যের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হবে না : সাঈদা মুনা
লিগ্যাল ভয়েস : যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিম বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) থাকুক কিংবা বা ইইউ থেকে বেরিয়ে আসুক যেটাই হোক না কেন, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হবে না।
তিনি বলেন,‘ইইউ থেকে যুক্তরাজ্য বের হোক বা না হোক। যেটাই হবে-তাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সম্পর্কের কোন পরিবর্তন হবে না। সম্পর্ক একই রকম থাকবে। যুক্তরাজ্য আমাদের আশ্বস্ত করেছে যে বাংলাদেশ যতদিন এলডিসি স্ট্যাটাস এনজয় করবে,ততদিন একইভাবে জিএসপি সুবিধা পাবে।’
সেন্ট্রাল লন্ডনের কংগ্রেস হলে দু’দিনব্যাপী পণ্য প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব এ কথা বলেন।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রেস মিনিস্টার আশেকুন নবী চৌধুরী হাইকমিশনার সাঈদা মুনা তাসনিমকে উদ্বৃত করে আজ বাসস’কে এসব এ কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাঈদা মুনা তাসনিম বলেন, ‘২০১৮ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তোরণের প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করেছে। এই প্রক্রিয়া চূড়ান্তভাবে ২০২৪ সালে শেষ হবে। তবে গ্রেস পিরিয়ড হিসেবে ২০২৭ সাল পর্যন্ত আমরা এলডিসির সুবিধাসমূহ ভোগ করতে পারব।’
যুক্তরাজ্যে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী বসবাস করে উল্লেখ করে হাইকমিশনার বলেন,এই প্রবাসীরা তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশের এতিহ্যবাহী পোশাক পছন্দ করে। ব্রিটিশদের পাশাপাশি প্রবাসীদের চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ডিজাউনে পোশাক তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ব্যবসায়ী মুহিব চৌধুরী বলেন, মূলত বাংলাদেশী তৈরি পোশাক পণ্য প্রদর্শনীর জন্য দ্বিতীয়বারের মত এই আয়োজন করা হয়েছে। আগামী বছর বৃহৎ পরিসর প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে বলে তিনি জানান।
প্রদর্শনী,২০১৯ এর প্রধান নির্বাহী এম লুতফর রহমান জানান, প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য হলো জারা বা প্রিমার্কের মত আন্তর্জাতিক ফ্যাশন হাউসের কাছে বাংলাদেশী পোশাককে তুলে ধরা।
১৫ বাংলাদেশী উদ্যোক্তার পাশাপাশি বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ উদ্যোক্তা প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করে। উদ্যোক্তারা জানান,প্রদর্শনীতে তারা ভাল সাড়া পেয়েছেন। যথেষ্ট বিক্রয় আদেশ পাওয়া গেছে।
আয়োজকরা জানান,যুক্তরাজ্যের বাজারে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি বাংলাদেশী জামদানি শাড়ি এবং তাঁত, মসলিন ও শিল্কের পোশাকের যথেষ্ট কদর রয়েছে।
ক্রেতারা প্রদর্শনীর ব্যবস্থাপনা এবং শৈল্পিক ডিজাইন ও উন্নতমানের সুতায় তৈরি পোশাক কিনতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।