ফজলে মাহমুদ নিয়ে মন্ত্রণালয় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
শাহনেওয়াজ,
লিগ্যাল ভয়েস : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আনতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাইলট ক্যাপ্টেন ফজলে মাহমুদ পাসপোর্ট ছাড়া কাতার যাওয়ার ঘটনা তদন্তে দুটি কমিটি গঠন করেছে সরকার।
গতকাল পৃথকভাবে কমিটি গঠনের আদেশ জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগমকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. হেলাল মাহমুদ শরীফ, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম।
কমিটির কর্মপরিধি সম্পর্কে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পাসপোর্ট ছাড়া ফজলে মাহমুদের দোহা ভ্রমণের কারণ অনুসন্ধান, বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার দায়দায়িত্ব নিরূপণ এবং বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কার্যপদ্ধতির ত্রুটি নিরূপণ করবে কমিটি।
কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এদিকে, সুরক্ষা সেবা বিভাগও চার সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) মোহাম্মদ আজহারুল হককে সভাপতি এবং যুগ্ম সচিব হেলাল মাহমুদ শরীফকে এই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সেলিনা বানু ও হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পাইলট ফজল মাহমুদকে আটক করা হয়েছে বলে কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ। গতকাল বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৫ জুন বিমানের ঢাকা-চট্টগ্রাম-দোহা রুটে বিজি১২৫ ফ্লাইটের অপারেটিং ক্যাপ্টেন হিসেবে ফ্লাইট পরিচালনা করেন ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ। দোহায় অবতরণ করার পর তিনি লক্ষ করেন পাসপোর্টটি তার সঙ্গে নেই।
এ অবস্থায় তিনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে দোহা এয়ারপোর্টে বিমান স্টেশন ম্যানেজার ও ঢাকা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং দোহা এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন চেক পয়েন্টের আগে ট্রানজিট হোটেল অরিক্সে চলে যান। পরদিন অর্থাৎ ৬ জুন সন্ধ্যায় তার পাসপোর্ট দোহায় পাঠানো হয় ও তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই কোনো জটিলতা ছাড়াই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দোহা নগরীতে বিমান ক্রুদের নির্ধারিত হোটেল ক্রাউন প্লাজায় চলে যান।