ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে পদত্যাগ করেছেন, নতুন প্রধানমন্ত্রীর খোজে বৃটেন
আন্তজর্জাতিক ডেস্ক,
লিগ্যাল ভয়েস : বেক্সিট বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় ঝড়ো গতিতে লন্ডন-ব্রাসেলস ছোটাছুটি আর অজস্র বৈঠকের পর বহু ঘটনা আর বিতর্কের জন্ম দিয়েও শেষমেশ প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে না পেরে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে গতকাল শুক্রবার যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টি প্রধানের পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়ালেন।
ফলে নিয়মানুযায়ী দেশটির প্রধানমন্ত্রী পদটিও আর থাকছে না তার হাতে। তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়ায় এখনই প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়বেন না তিনি। দল নতুন নেতা নির্বাচন না করা পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব পালন করে যাবেন।
ইউরোপের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদে একটি চুক্তিতে উপনীত হতে না পারার ব্যর্থতার দায় কাঁধে নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন মে। তখন ৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্যেও জাতীয় স্বার্থে এই বিষয়টি এগিয়ে নেয়ার জন্য একজন নতুন প্রধানমন্ত্রীর প্রয়োজনীয়তা আমার কাছে সুস্পষ্ট। বিবিসি জানায়, মে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণার পর কনজারভেটিভ দলের ১১ এমপি দলীয় প্রধান হওয়ার লড়াইয়ে নেমেছেন।
যিনি জিতবেন তিনি যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীও হবেন। জুলাইয়ের চতুর্থ সপ্তাহে নতুন দলীয় প্রধানের নাম ঘোষণা করা হতে পারে। সে পর্যন্ত মে দলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নতুন নেতা নির্বাচন প্রক্রিয়া : টোরি এমপিদের মধ্যে যে কেউ দলীয় প্রধান হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামতে পারবেন, শুধু পার্লামেন্টে আটজন সহকর্মী তাকে সমর্থন দিলেই হবে। তারপর শুরু হবে বাছাই প্রক্রিয়া।
এমপিরা নিজেদের পছন্দের প্রার্থী বেছে নেয়ার জন্য আগামী ১৩, ১৮, ১৯ এবং ২০ জুন গোপন ভোট দেবেন। এভাবে বাছাইয়ে বাদ দিতে দিতে শেষ পর্যন্ত যখন মাত্র দুজন থাকবেন তখন দলের সব সদস্য ভোট দিয়ে তাদের মধ্যে একজনকে বেছে নেবেন।
আগামী ২২ জুন ওই চূড়ান্ত ভোট হওয়ার কথা রয়েছে। গত বছর মার্চের হিসাব অনুযায়ী কনজারভেটিভ পার্টির মোট সদস্য ১ লাখ ২৪ হাজার। সর্বশেষ ২০০৫ সালে দলীয় সদস্যদের ভোটে ডেভিড ক্যামেরন দলীয় প্রধান নির্বাচিত হন।
২০১৬ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলীয় প্রধান নির্বাচিত হন থেরেসা মে। সদস্যদের ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার চার সপ্তাহ পর নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হবে, যিনি একই সঙ্গে হবেন ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী।