শিশুদের মেধা বিকাশ, দেশাত্ববোধ ও মূল্যবোধ জাগাতে স্বপ্ন দেখাতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

গোফরান চৌধুরী,

লিগ্যাল ভয়েস : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শিশুদের মধ্যে মেধা, দেশাত্ববোধ ও মূল্যবোধ জাগ্রত করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “শিশুদের মধ্যে মনন তৈরী ও দেশাত্ববোধ, মূল্যবোধ জাগ্রত করার জন্য স্বপ্ন দেখাতে হবে।

জীবনটা হচ্ছে যুদ্ধক্ষেত্র, এই যুদ্ধে জিততে হলে স্বপ্ন দেখতে হবে। জীবন চলার পথে অনেক আচ্ছাদন হারিয়ে যাবে, তাতে থেমে গেলে চলবেনা।
‘স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে হলে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি যদি বাস্তবায়নের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা থাকে তাহলে অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব।

ড. হাছান মাহমুদ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সী-বীচে তথ্য মন্ত্রণালয়ের শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক যোগাযোগ কার্যক্রমের আওতায় বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক নারায়ন চন্দ্র শীলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আজহারুল হক, বাংলাদেশ বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক এস এম আবুল হোসেন প্রমুখ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “নারীর প্রতি সহিংসতা এবং শিশুর প্রতি নির্মমতা বন্ধ করতে হবে। উন্নত বাংলাদেশ গড়তে তাদের মাঝে মেধা, দেশাত্ববোধ ও মূল্যবোধের জাগ্রত করতে হবে। তাহলেই বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা আজকে শেখ হাসিনার হাত ধরে বাস্তবায়িত হবে।” তিনি বলেন, আমরা একটা সপ্নের বাংলাদেশের কল্পনা করি।

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের বাংলাদেশের রূপকল্প আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। সেই ধরণের দেশ যদি গঠন করতে হয় তাহলে সেই ধরণের মানুষ প্রয়োজন।
সেই ধরণের মানুষ হচ্ছে মেধা সম্পন্ন বুদ্ধিদীপ্ত মূল্যবোধে উন্নত দেশাত্ববোধে জাগ্রত উল্লেখ করে তিনি বলেন, মূল্যবোধ, দেশাত্ববোধ ও মেধার সমন্বয় যদি একটি মানুষের মধ্যে ঘটে তাহলে সে উন্নত হয়ে উঠে। আর এই সমন্বয় ঘটানোর সময় হচ্ছে শিশু ও তরুণ বয়স। সেই কাজটি আমাদেরকে করতে হবে।

হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের অর্ধেক জনসংখ্যা হচ্ছে নারী। নারী উন্নয়নে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশ গুলোর কাছে অতিক্রান্ত। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন যেভাবে পৃথিবীর কম উন্নয়নশীল দেশে হয়েছে।
তিনি বলেন, সমস্ত স্থানীয় সরকার পর্ষদে নারীর জন্য ৩০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার আগে এভাবে কেউ ভাবেনি স্থানীয় পর্যায়ে এভাবে নারীর ক্ষমতায়ন হবে। এখন নারীরা বিমান চালাচ্ছেন, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, নারী ডিসি, এসপি, মেজর জেনারেল হবে কেউ চিন্তা করেনি। এসব সম্ভব হয়েছে জননেত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বের কারণে।

মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর ক্ষেত্রে সার্কভুক্ত দেশ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে সফল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ যখন স্বাধীনতা অর্জন করেন তখন গড় আয়ু ছিল ৪৪ বছর। বর্তমানে আমাদের দেশের গড় আয়ু ৭৩ বছর। ভারতে ৭১ বছর, পাকিস্তানে ৬৯ বছর। এটা সম্ভব হয়েছে নারী ও শিশু মৃত্যুর হার কমানোর কারণে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *