চলমান দুর্নীতির দায়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা বরখাস্ত
রিন্টু চৌধুরী,
লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : ভূমি অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত ভূমি, ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতিপূরণে ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে ভূমি মন্ত্রণালয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসকের কাছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মাক্ছুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত পাঠানো চিঠি থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
বরখাস্ত আদেশের ঠিক এক মাস পর বৃহস্পতিবার রাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের পাঠানো তিনটি চিঠির বিষয় দৃষ্টিগোচর হয়। বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে, কোন কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন- জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এল এ শাখার অতিরিক্ত ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা নিত্য গোপাল ও কানুনগো সুব্রত সরদার এবং তৎকালীন সার্ভেয়ার বর্তমানে রামপাল উপজেলা ভূমি অফিসে কর্মরত সার্ভেয়ার কামাল হোসেন।
চিঠিতে উল্লেখ আছে, খুলনা-মোংলা নির্মাণাধীন রেললাইন প্রকল্পে ভূমি অধিগ্রহণে এই তিন কর্মকর্তার যোগসাজসে ঘুষ গ্রহণের বিনিময়ে ক্ষতিপূরণ প্রদান, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণ না দেয়া, অধিগ্রহণের আওতাভুক্ত নয় এমন ভূমি এবং ভুয়া ভূমি মালিক সাজিয়ে তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়া, একই দাগের ভূমির ক্ষতিপূরণ একাধিকবার দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তারা এই প্রকল্পে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন যাতে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে মর্মে প্রতীয়মান।
সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮ এর বিধি ১২ অনুযায়ি এই তিন কর্মকর্তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০১৫-১৬ অর্থবছরে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতে সরকার খুলনা-মোংলা রেললাইন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়।
খুলনা-মোংলা নির্মাণাধীন রেললাইন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে তিন হাজার ৮০১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এরমধ্যে রেললাইনে ব্যয় হবে এক হাজার ১৪৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, ব্রিজের জন্য এক হাজার ৭৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা এবং জমি অধিগ্রহণে এক হাজার আট কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।