গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে : সংসদে তথ্যমন্ত্রী

সংসদ প্রতিনিধি,

সংসদ ভবন, লিগ্যাল ডেস্ক : তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে।
তিনি আজ সংসদে ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, অনেকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। যারা এদেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন, তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি- বৃটেনের ১৬৭ বছরের পুরনো পত্রিকা ‘নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ ২০১১ সালে একটি ভুল রিপোর্ট প্রকাশের কারণে বন্ধ হয়ে যায় এবং কয়েক বছর আগে বিবিসিতে একজন এমপি’র বিরুদ্ধে একটি অসত্য সংবাদ পরিবেশন করার কারণে পত্রিকার প্রধান নির্বাহী থেকে শুরু করে পুরো টিমকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। বাংলাদেশে কোন অসত্য বা ভুল সংবাদ প্রকাশ বা পরিবেশনের কারণে কোন পত্রিকা বন্ধ হয়নি এবং কোন পত্রিকা বন্ধ করা সরকারের উদ্দেশ্যও নয়।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। ১০ বছর আগে বাংলাদেশে দৈনিক পত্রিকা ছিল সাড়ে ৭শ’, এখন এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩শ’, ১০ বছর আগে টেলিভিশনের সংখ্যা ছিল ১০টি, এখন টেলিভিশন চ্যানেল অনএয়ারে আছে ৩৩টি এবং ৩৫টির লাইসেন্স দেয়া আছে, ১০ বছর আগে হাতে গোনা কয়েকটি অনলাইন ছিল, এখন কয়েক হাজার অনলাইন, ১০ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছিলই না, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪০ থেকে ৫০ লাখ, আর এখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৯ কোটি, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর থেকে বাংলাদেশ ছিল স্বল্পোন্নত দেশের তালিকার একটি দেশ। এখন আমরা নিম্নমধ্যম আয়ের দেশ। স্বাধীনতার পর এদেশে এক ইঞ্চি কৃষি জমি বাড়েনি, বরং আবাসন, শিল্পায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে ২০ থেকে ২৫ ভাগ কৃষি জমি কমেছে। বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ ও মাথাপিছু কৃষি জমির পরিমাণ কম হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ এখন খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশ। বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কাছে বাংলাদেশ একটি কেসস্টাডি।

তিনি বলেন, বাজেট ঘোষণার পর সিপিডি ও বিএনপি অনেক সমালোচনা করেছে। কিন্তু তারা প্রতি বছর একই বক্তব্য দেয়। বাজেট দিলে তারা বড় বড় আওয়াজ তুলে, কিন্তু কোন যুক্তি সেখানে থাকে না।

তথ্য মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি বিতর্কভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থায় বাস করি, আমরা বিতর্ক, তর্ক, সমালোচনা চাই। সমালোচনাকে সমাদৃত করার সংস্কৃতি প্রধানমন্ত্রী লালন করেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার লালন করেন। আমরা চাই আপনারা বাস্তবসম্মত সমালোচনা করুন, সেই সমালোচনা আমরা গ্রহণ করবো। কিন্তু প্রতি বছর একই ধরনের বক্তব্য দিয়ে নিজেদেরকে অন্তসার শূন্য করবেন না।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *