জয় দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে ছয়ে উঠেছে পাকিস্তান
স্পোর্টস ডেস্ক,
লিগ্যাল ভয়েস : ব্যাট-বল কোনো দিকেই কম যায়নি। নিউজিল্যান্ডকে চাপে রেখে মাত্র ২৩৭ রানে আটকে রেখে বোলাররা কাজটা সহজ করেদিয়েছিলেন। বাবর আজমের সেঞ্চুরিতে সহজ লক্ষ্যটা সাবলীলভাবেই পূরণ করেছে পাকিস্তান। ফলশ্রুতিতে ৫ বল বাকি থাকতেই ছয় উইকেটের জয়। এতে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে নিজেদের ভালোভাবেই ধরে রাখল সরফরাজ বাহিনী।
সাত ম্যাচ থেকে সাত পয়েন্ট নিয়ে শ্রীলঙ্কাকে পেছনে ফেলে ছয়ে উঠে এসেছে পাকিস্তান। পাঁচে থাকা বাংলাদেশেরও সমান সাত পয়েন্ট। তবে রান রেট বাংলাদেশ এগিয়ে আছে। তাই এবারের বিশ্বকাপে এখন অস্ট্রেলিয়া বাদে পাঁচটি দলের জন্যই শেষ চারে যাওয়ার সম্ভাবনা ও আশঙ্কা দুটিই থাকল। ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ড আপাতত সেরা চারে রয়েছে। তবে পেছনে থাকা বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের ভবিষ্যত পারফরমেন্স তাদের জন্য মাথা ব্যথার কারণ হয়ে যেতে পারে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তৃতীয় ওভারেই দলীয় ১৯ রানে ট্রেন্ট বোল্টের বলে মার্টিন গাপটিলের হাতে ধরা পড়েন ফখর জামান। একাদশ ওভারে ফার্গুসনের বলে দুর্দান্ত এক ক্যাচ ধরে ইমাম-উল হককে ফেরান গাপটিল।
দলীয় ১১০ রানে উইলিয়ামসনের বলে ফিরেন মোহাম্মদ হাফিজ (৩২)। তবে বাবর আজম লড়াই চালিয়ে যান। তার সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে জুটি বাঁধা হ্যারিস সোহাইলও সমর্থন যোগিয়েছেন দারুণভাবে। এই দুজনের লড়াইয়ে সহজেই লক্ষ্য তাড়া করে পাকিস্তান। লক্ষ্য থেকে মাত্র ২ রান দূরে থাকতেই আউট হয়ে যান হ্যারিস সোহাইল। ৭৬ বল থেকে পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কার মারে ৬৮ রান করেন তিনি। অপরদিকে বাবর আজম ১২৭ বল থেকে ১১টি চারের মারে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন।
বার্মিংহ্যামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ২৩৭ রান করে নিউজিল্যান্ড। মাঠে নেমে দলীয় ৫ রানে আমিরের ব্যক্তিগত প্রথম ওভারের প্রথম বলে বোল্ড হয়ে ফিরেন মার্টিন গাপটিল।
এরপর টানা তিন উইকেট তুলে নেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। একে একে কলিন মুনরো, রস টেলর ও টম লাথামকে ফিরিয়ে দেন ১৯ বছর বয়সী এই বাঁহাতি পেসার। সবশেষ শাদাব খান ফেরান কেন উইলিয়ামসনকে। শুরুতে আউট হওয়া পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে উইলিয়ামসন সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন।
মাত্র ৮৩ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে রীতিমতো বিপর্যয়ে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। সেই অবস্থা থেকে দলকে তুলেন জিমি নিশাম ও কলিন গ্র্যান্ডহোম। ১৩২ রানের দারুণ একটা জুটি গড়েন এ দুজন। দলীয় ২১৫ রানে ৭১ বলে ৬৪ রান করে ফিরেন গ্র্যান্ডহোম। আর ১১২ বল থেকে পাঁচটি চার ও তিনটি ছক্কার মারে নিশাম ৯৭ রান করে অপরাজিত থাকেন।