ছাত্রদলের দুই শীর্ষ পদে লড়তে চান যারা
তৌফিক ইমাম,
লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : আগামী ১৫ জুলাই সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হবে।
সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে লড়তে চান এমন নেতারা নিজেদের মতো করে কাউন্সিলরদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। কেউ আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে জানান দিচ্ছেন নিজের সম্ভাব্য প্রার্থিতার কথা। বিএনপি ও ছাত্রদলের সাবেক নেতাদের সঙ্গেও অনেকে যোগাযোগ করছেন, যাতে যাচাই-বাছাইয়ে অযাচিত সমস্যার থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
সভাপতি পদে আগ্রহীদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি আল মেহেদী তালুকদারের নাম জোরালোভাবে শোনা যাচ্ছে। বিএনপির বেশ কিছু নেতা ও সাবেক ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা তাকে সভাপতি করার চেষ্টায় আছেন বলে জানা গেছে। তবে তিনি বিবাহিত বলে ছাত্রদলের নেতাদের অনেকের দাবি।
এ ছাড়া যারা প্রার্থী হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- কেন্দ্রীয় সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মামুন খান, স্কুলবিষয়ক সম্পাদক আরাফাত বিল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম সম্পাদক হাফিজুর রহমান, কাজী রওনক উল ইসলাম (শ্রাবণ)।
তাদের মধ্যে শ্রাবণ যুবদল সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর লোক বলে শোনা গেছে।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে যাদের নাম শোনা গেছে তাদের মধ্যে একজন নারীকর্মীও আছেন। সরকারি বদরুন্নেসা কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাদিয়া পাঠান পাপন সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এবার তিনি লড়তে চান সাধারণ সম্পাদক পদে। তার গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়।
লিগ্যাল ভয়েসকে নাদিয়া বলেন, ‘আপাতত দল যে সিদ্ধান্তে আছে আমিও সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চিন্তা করছি। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হতে চাই। তারপরও দল যদি নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেয় সেটাই মেনে নিব।’
এই পদে আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতা শাহনেওয়াজ, শ্যামল, সাগর সর্দার ও এরশাদ খান।
জানা গেছে, সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মামুনুর রশীদ মামুনের ঘনিষ্ঠ শাহনেওয়াজ, আর শ্যামলকে প্রার্থী করতে চান সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান।
ঘোষণা অনুযায়ী ২৯ ও ৩০ জুন মনোনয়নপত্র জমা, ১ থেকে ৩ জুলাই পর্যন্ত প্রার্থী বাছাই হবে। ৪ জুলাই প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ, ৫ ও ৬ জুলাই তালিকার ওপর আপত্তি নিষ্পত্তি, ৭ জুলাই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে।