পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৪ রানে হেরে গেলো মাশরাফির দল
স্পোর্টস ডেস্ক
লিগ্যাল ভয়েস : পাকিস্তানের সামনে অসম্ভব একটা সমীকরণ ছিল সেমিফাইনালে ওঠার জন্য। বাংলাদেশের সামনে তেমন কিছুও ছিল না। তারপরও একটা সুযোগ ছিল জয় দিয়ে এবারের বিশ্বকাপটা শেষ করার। কিন্তু সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না টাইগাররা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৪ রানে হেরে গেলো মাশরাফির দল। আগে ব্যাট করা পাকিস্তান ৯ উইকেটে ৩১৫ রান করে। জবাবে বাংলাদেশ ৪৪.১ ওভারে ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়।
৩১৫ রানের জবাব দিতে গিয়ে দলীয় ২৬ রানে সৌম্য সরকারের উইকেট হারায় বাংলাদেশ; সৌম্য ব্যক্তিগত ২২ রান করে ফেরেন। এরপর তামিম ২১ বলে ৮ রান করে ফেরেন। মুশফিক ফিরে আসেন ১৬ রান করে। এরপর যথারীতি বাংলাদেশের হাল ধরেছিলেন সাকিব আল হাসান। তিনি ফেরেন ৬৪ রান করে। এর ফলে ৬০৬ রান নিয়ে গতকাল পর্যন্ত চলতি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন সাকিব।
সাকিব ফেরার আগেই ৩২ রান করে ফিরে আসেন লিটন দাস। এরপর মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক, মাশরাফিদের ছোটো ছোটো স্কোর আর জয়ের পথ দেখাতে পারেনি বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের শাহিন আফ্রিদি তুলে নেন ৬ উইকেট।
টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান প্রথম উইকেট দ্রুতই হারিয়েছিল। দলীয় ২৩ রানে ওপেনার ফাখার জামানের উইকেট তুলে নেন সাইফউদ্দিন। এরপর পাকিস্তানকে বিশাল একটা জুটি এনে দেন ইমাম-উল-হক ও বাবর আজম। দুইজন দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৭ রান যোগ করেন। বাবর আজম সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৪ রান দূরে আউট হয়ে ফেরেন। ৯৬ রানে থাকা বাবরকে এলবিডব্লিউ করে ফেরান সাইফউদ্দিন।
পরপরই বাংলাদেশ আরো দুটি উইকেট তুলে নেয়। ২৭ রান করে হাফিজ ফেরেন মেহেদী হাসান মিরাজের বলে। পরপরই হারিস সোহেল ৬ রানে ফেরেন মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। এর আগে সেঞ্চুরি করেই মুস্তাফিজের প্রথম শিকার হন ইমাম। তিনি ঠিক ১০০ বলে ১০০ রান করে ফেরেন।
আরও পড়ুন: তিন জেলায় বিএনপির কমিটি
এরপর পাকিস্তানের লোয়ার অর্ডার সঙ্গে নিয়ে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করেন ইমাদ ওয়াসিম। কিন্তু তিনি পেরে ওঠেননি। সাইফউদ্দিন তৃতীয় উইকেট শিকার করেন ওয়াহাব রিয়াজকে আউট করে। আর মুস্তাফিজ তুলে নেন আরো ৩ উইকেট।
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ২০ উইকেট নিয়ে গতকাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো মুস্তাফিজ গতকাল বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম ও বিশ্বের চতুর্থ দ্রুততম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট শিকার করে ফেলেন।