রাইড শেয়ারিং সেবা উবার, পাঠাও নিবন্ধন
রমিজ রাজা,
লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : প্রায় ৩ বছর ধরে অনুমোদন ছাড়া চলার পর রাইড শেয়ারিং অ্যাপস প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিবন্ধন নিতে বলছে বিআরটিএ। গত এক সপ্তাহ ধরে তাদের নিবন্ধনের জন্য ডাকা হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে মাত্র একটি অ্যাপস নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও বাকিরা করেনি।
এর মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি পরিচিত রাইড শেয়ারিং সেবা উবার, পাঠাও এখনো নিবন্ধনের জন্য আসেনি।
নিবন্ধন নিলে পাঠাওকে রাইড শেয়ারিং থেকে ট্যাক্সিকে বাদ দিতে হবে। ট্যাক্সি সার্ভিসের আলাদা নীতিমালা থাকায় রাইড শেয়ারিং নীতিমালায় ট্যাক্সি সার্ভিস চলা অবৈধ। ট্যাক্সি সার্ভিসের গাড়ি রাইড শেয়ারিং অ্যাপে চললে তা অবৈধ এবং এ অপরাধে নিবন্ধন বাতিল করতে পারে বিআরটিএ। পাঠাও ‘তমা ট্যাক্সি’র মাধ্যমে এক বছর ধরে কার সার্ভিস দিয়ে আসছে।
নিবন্ধন নিলে এই সার্ভিস আর দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিআরটিএ। এমনিতে পাঠাও থেকে উবার দ্রুত এবং সহজে পাওয়া যাচ্ছে বলে ব্যবহারকারীদের অভিমত। তবে কিছুদিন ধরে পাঠাও কার সার্ভিস থেকে গাড়ি তুলে নিচ্ছেন অনেক চালক। তাদের মতে পাঠাও কার সার্ভিসে ট্রিপ মিলছে না।
এ ব্যাপারে বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) লোকমান হোসেন মোল্লা জানান, নিবন্ধনের পর রাইড শেয়ারিং নিয়ে নাগরিকদের অভিযোগ অ্যাপস প্রতিষ্ঠান সমাধান করবে। না করলে বিআরটিএ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে।
রাইড শেয়ারিংয়ে ট্যাক্সি ক্যাব চলা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ট্যাক্সি ক্যাবগুলো তাদের নিজস্ব কোনো অ্যাপে ট্যাক্সি নীতিমালায় চলতে পারবে। তবে কোনো রাইড শেয়ারিং অ্যাপে ট্যাক্সি কারগুলো যুক্ত হতে পারবে না।
রাইড শেয়ারিং নীতিমালা অনুযায়ী চার ধরনের যানকে এ সেবায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলো হলো- মোটরসাইকেল, মোটরকার, জিপ, মাইক্রোবাস এবং অ্যাম্বুলেন্স। সিএনজি অটোরিকশা রাইড শেয়ারিংয়ে চলতে পারবে না। কারণ অটোরিকশাগুলো মিটার পদ্ধতিসহ আলাদা নীতিমালা রয়েছে।
বিআরটিএ জানায়, রাইড শেয়ারিং মোটরযান মালিককেও বিআরটিএর নিবন্ধন নিতে হবে। তারা অ্যাপস প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে আবার আলাদা চাইলেও আবেদন করতে পারবে।
একজন মোটরযান মালিক কেবলমাত্র তার একটি গাড়ি রাইড শেয়ারিংয়ে দিতে পারবেন।
নতুন মোটরযান কিনেই রাইড শেয়ারিংয়ে দেয়া যাবে না। রেজিস্ট্রেশনের কমপক্ষে এক বছর না হলে সেই গাড়ি দিয়ে রাইড শেয়ারিং করা যাবে না।
লোকমান হোসেন মোল্লা জানান, নিবন্ধনের পর তারা বলতে পারবেন ঢাকায় মোট কতটি গাড়ি রাইড শেয়ারিং করছে।
কোন কোন গাড়ি রাইড শেয়ারিং করছে তার নম্বরসহ বিআরটিএর ওয়েবসাইটে থাকবে।