বগুড়া-রংপুরে ভুয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত

স্টাফ রিপোর্টার,

লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : বগুড়া ও রংপুরে চারুকলা ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট, ইউনিভার্সিটি, মেডিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, বিএড কলেজ, প্যারামেডিক্যাল ইন্সটিটিউটসহ ডজন খানেক ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এক দম্পতি। সম্প্রতি স্থানীয় একটি দৈনিকে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর ওই দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইম।

গতকাল রবিবার ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পর তাদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বগুড়া সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আল ফারাবি মো. নুরুল ইসলাম (৫২) ও তার স্ত্রী মোসা. আকলিমা খাতুন (৪১)।

আসামি আল ফারাবি মো. নুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী আকলিমা খাতুন নিজেদের মালিকানায় ও বগুড়া সদরে ভবন ভাড়া নিয়ে ইউনিভার্সিটি, পলিটেকনিক, প্যারামেডিকেলসহ প্রায় ১০টির মতো প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। এছাড়া রংপুরে দুটি নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠান চালাতেন তারা।

ব্গুড়ায় তাদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- নুরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, নিয়াক মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংকলেজ (পলিটেকনিক), বগুড়া টিএইচবিপিইডি কলেজ, এসবি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজ, পাবলিক হেল্থ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক, শহীদ মোনায়েম হোসেন বিএড কলেজ, টিএউচবিপিএড কলেজ, নুরুল ইসলাম আকলিমা প্যারামেডিক্যাল ইন্সটিটিউট; বাঘোপাড়া, বকুল, বগুড়া সদরে ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড বি এম কলেজ।

রংপুরে তাদের প্রতিষ্ঠানগুলো হল- রংপুর একাডেমিক এন্ড প্রফেশনাল ইন্সটিটিউট, অ্যাকাডিমিক অ্যান্ড প্রফেশনাল ইন্সিটিটিউট

অনুসন্ধানে সিআইডি জানতে পেরেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনার আড়ালে চারুকলা ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটসহ একাধিক অনুমোদনবিহীন নাম-সর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে চাকরি-প্রত্যাশী বেকার যুবকের নিকট চারুকলা ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট বিক্রি করে বিপুল অবৈধসম্পদ অর্জন করেছে।

এছাড়াও আসামিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগের কথা উল্লেখ করে বেকার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতেন এবং ভর্তি হলেই পাস করার নিশ্চয়তা দিতেন।

আসামিদের মালিকানাধীন তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নামে প্রচারিত লিফলেটে চারুকলা ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তির বিষয়ে ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদিত’ উল্লেখ করা প্রচারিত বিজ্ঞপ্তি দেখে ২০১৬ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় একটি মামলাও দায়ের করেছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *