রাঘব-বোয়ালদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে : দুদক চেয়ারম্যান
রাকিবুল ইসলাম,
লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা শীর্ষক এই সেমিনারের দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, শুধু চুনোপুঁটি নয়, রাঘব-বোয়ালদেরও আইনের আওতায় আনা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, অনেক প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা, বিত্তবান ব্যবসায়ী কিংবা উচ্চপদস্থ অনেক আমলার বিষয়েও দুদক অনুসন্ধান, তদন্ত কিংবা প্রসিকিউসন করছে।
দুদক চেয়ারম্যান আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের মানিক মিয়া হলে হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আয়োজিত “দুর্নীতি দমনে আইনজীবী ও বিচার বিভাগের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ এর প্রেসিডেন্ট এডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক আইন মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু ও ব্যারিষ্টার এম. আমির-উল ইসলাম।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ যারা গ্রামে বাস করে তারাই দুর্নীতি , হয়রানি কিংবা অনিয়মের সবচেয়ে বড় শিকার। এসব দুর্নীতিতে অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুনোপুঁটিরাই সম্পৃক্ত থাকেন। ফলে দেশের প্রায় এই ৮০ শতাংশ মানুষ যারা দুর্নীতির কারণে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাদের কল্যাণেই চুনোপুঁটিদেরও আইনের আওতায় আনতে হচ্ছে এবং তা অব্যাহত রাখা হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, কেবল সবার সমন্বিত উদ্যোগেই দুর্নীতি প্রতিরোধ, দমন ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আর এ জন্য প্রয়োজন দুর্নীতি বিরোধী তীব্র সামাজিক আন্দোলন।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইনেও দুর্নীতি প্রতিরোধকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
উপস্থিত অতিথিদের উদ্দেশ্যে ইকবাল মাহমুদ বলেন, আপনাদের সকলের প্রতি আমাদের উদাত্ত আহ্বান আসুন, আমরা সমন্বিতভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করি যাতে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত দুর্নীতিমুক্ত , বৈষম্যহীন সোনার বাংলা তৈরিতে পথ প্রশস্ত হয়।
আবদুল মতিন খসরু বলেন, দুর্নীতিপরায়ণদের সাজা নিশ্চিত করা গেলেই সমাজে এই বার্তা পৌঁছে যাবে, দুর্নীতি করলে রক্ষা নেই।
ব্যারিষ্টার এম. আমির-উল ইসলাম বলেন, আইন দিয়ে দুর্নীতি বন্ধ করা কঠিন, এর সঙ্গে সমাজের নৈতিক মূল্যবোধের বিষয়াদি জড়িত।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ব্যারিষ্টার এম এস আজিম।