নদী দূষণ ও দখলরোধসহ নাব্যতা বৃদ্ধির বিষয়ে মাস্টারপ্লান চূড়ান্ত : এলজিআরডি মন্ত্রী

রাকিবুল ইসলাম,

লিগ্যাল ভয়েস ডেস্ক : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখলরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য প্রণীত ২টি মাস্টারপ্লান চূড়ান্ত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মাস্টারপ্লান ২টি অনুমোদন করেছেন এবং কালক্ষেপণ না করে বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো এ মাস্টারপ্লান অনুযায়ী নিজ নিজ কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, পানি সম্পদ সচিব কবীর বিন আনোয়ার সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

তাজুল ইসলাম জানান, ইতোপূর্বে প্রণীত খসড়া মাস্টারপ্লান দুটি নিবিড়ভাবে পর্যালোচনাপূর্বক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের স্ব স্ব দায়িত্ব ও করণীয় মাস্টারপ্লানে যথাযথভাবে প্রতিফলিত হয়েছে কিনা সে বিষয়ে বিস্তারিত মতামত গ্রহণ করা হয়।

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণ ও দখলরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রণীত মাস্টারপ্লানে ২৪টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতায় ১৮০টি সহযোগী কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও ২য় মাস্টারপ্লানটিতে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী এবং হালদা নদীর জন্য ৪৫টি মূল কার্যক্রম এবং এর আওতায় ১৬৭টি সহযোগী কার্যক্রম চিহ্নিত করা হয়েছে।

২টি মাস্টারপ্লান-ই ক্রাশ প্রোগ্রাম, স্বল্পমেয়াদী, মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জুন ২০১৬ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) এর সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীসহ ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দূষণরোধ এবং নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য মাস্টারপ্লান তৈরীর লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রীকে আহবায়ক করে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগণের সমন্বয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কে সদস্য সচিব করে কমিটি গঠন করা হয়েছিল।

সাম্প্রতিক সময়ের ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এডিস মশার বিস্তার তথা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বাত্বক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। এজন্য নাগরিকদের সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরী বলেও মন্ত্রী মত প্রদান করেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *