রাজাকারদের তালিকা হচ্ছে

জসিমউদদীন,

লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
একাত্তরে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খাদ্য ও আশ্রয় দিয়ে যারা সহযোগিতা করেছেন তারা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’র মর্যাদা পাবেন। সরকার তাদের তালিকা করছে।

অপরদিকে যারা পাকিস্তানিদের কাছ থেকে অস্ত্র ও ভাতা নিয়েছেন এবং তাদের সহযোগিতা করেছেন রাজাকার হিসেবে তাদের তালিকাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

শুক্রবার দুপুরে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জেলার চরভাদ্রসন, সালথা ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স একযোগে উদ্বোধন শেষে মতবিনিময় সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।

বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে প্রায় ৪৪ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বানিয়েছিল বলে অভিযোগ করেন মন্ত্রী। ভিন্ন প্রক্রিয়ায় বাঁকা পথে যারা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় স্থান পেয়েছিল তাদের বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।

মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘সব যুদ্ধাপরাধীর বিচার করা হবে। ভয়ভীতি না পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিন।’

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আগামী বছর মুজিব বর্ষ। সরকার মুজিব বর্ষ পালন উপলক্ষে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে বাড়ি নির্মাণ করে দেবে। এ জন্য ২২’শ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

দেশের উন্নয়নে বিএনপিকে অন্তরায় হিসেবে উল্লেখ করে প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন পদ্মা সেতু দিয়ে কেউ চলাচল করতে পারবে না। আসলে বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়ন চায় না। তারা লুটপাটে বিশ্বাস করে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান।

এসময় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হাকিম, ফরিদপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহিদুল হাসান জাহিদ, পৌর মেয়র সাইফুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এস এম আকরাম হোসেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *