রোহিঙ্গা ইস্যু শুধু মানবিক বিপর্যয় নয় ভূরাজনৈতিক সমস্যাও

রাকিবুল ইসলাম,

লিগ্যাল ভযেস টোয়েন্টিফোর : রোহিঙ্গা সংকটের মাধ্যমে এক ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে, এটি সবার কাছে স্পষ্ট। এ সংকট নিরসনের জন্য বিভিন্ন আলোচনা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনে কূটনৈতিকসহ বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছে, রোহিঙ্গা ইস্যু শুধু মানবিক বিপর্যয় নয়; এটি ভূরাজনৈতিক সমস্যা। তাই এ সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের পাশাপাশি চীন, ভারত, মালয়েশিয়া, রাশিয়াসহ সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।

গতকাল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় (এনএসইউ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকট: চ্যালেঞ্জ ও স্থায়ী সমাধান’বিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। সকালে বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মেলনটির উদ্বোধন করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক হাইকমিশনের (ইউএনএইচসিআর) আঞ্চলিক সহকারী প্রতিনিধি অ্যালিস্টার বল্টন, এনএসইউর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান বেনজীর আহমেদ, ট্রাস্টি বোর্ড সদস্য এমএ কাসেম প্রমুখ। সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন মালয়েশিয়ার সাবেক স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ত্যান শ্রী দাতো সেরি সৈয়দ হামিদ আলবার।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এইচটি ইমাম বলেন, সীমিত সম্পদ নিয়ে বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গাদের সম্ভাব্য সব সুবিধা দিয়েছে। রোহিঙ্গা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় সবকিছু করার চেষ্টা করছে। তাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, সীমিত সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সফলভাবে এ সংকট নিরসনে কাজ করেছে। এর ফলে কোনো রোহিঙ্গা আশ্রয় ও খাদ্যের অভাবে মারা যায়নি। আমরা আগামী দিনে সমস্যা মোকাবেলায় কাজ করে যাব।

বেনজীর আহমেদ বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। আমি আশা করছি, এ সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা এ সমস্যা সমাধানের দীর্ঘমেয়াদি পথ খুঁজে বের করতে পারব।

ড. ত্যান শ্রী দাতো সেরি সৈয়দ হামিদ আলবার তার বক্তব্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা, নীতিনির্ধারক ও রাজনীতিবিদদের রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে তাদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সম্মেলনের প্রথম দিন ১১টি প্লেনারি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *