ছয় মাসে ৩ লাখ ২০ হাজার নতুন আয়কর ফাইল চালু

সাইদুর রনি,

লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর : জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে (ডিসেম্বর-জুন) কর জরিপের মাধ্যমে ৩ লাখ ২০ হাজার নতুন আয়কর ফাইল চালু করেছে।

করদাতার সংখ্যা ও কর রাজস্ব আয় সম্প্রসারণের অংশ হিসেবে রাজস্ব প্রশাসন আয়কর ফাইল চালু এবং আয়কর বিবরণী দাখিলের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে।

নতুন করদাতার সন্ধানে আয়কর বিভাগ বর্তমানে সারাদেশে ২১৩টি জরিপ টিম পরিচালনা করছে। প্রতিটি টিমের নেতৃত্বে রয়েছে একজন যুগ্ন কমিশনার বা অতিরিক্ত কমিশনার। একটি টিম ন্যুনতম ৫জন সদস্য নিয়ে গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২ জন সদস্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে এসব শিক্ষার্থীদের জরিপ কার্যক্রমে নিযুক্ত করেছে রাজস্ব প্রশাসন।
এনবিআরের সদস্য (কর জরিপ ও পরিদর্শন) মো. মেফতাহ উদ্দিন খান লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোরাে বলেন,‘নতুন করদাতা সন্ধানে আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি।

তথ্য পাওয়ার পর কর অফিস সেগুলো যাচাই-বাছাই করেছি, কাদের করযোগ্য আয় রয়েছে কিংবা অদূর ভবিষ্যতে করযোগ্য হতে পারেন। তাদের নামে কেবলমাত্র আয়কর ফাইল চালু করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, কর জরিপ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে তথ্য সংগ্রহকারীরা ৪ লাখ ৪৪ হাজার মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে। এর মধ্যে তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে এদের সবাই প্রকৃতপক্ষে করযোগ্য নয়।

তথ্যের ভিত্তিতে যাদেরকে করযোগ্য মনে হয়েছে কেবলমাত্র তাদের নামে ফাইল চালু করা হয়েছে। এই সংখ্যাটি জুন পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ২০ হাজার।

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬ লাখ ৭২ হাজার নতুন আয়কর ফাইল চালুর লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলে তিনি জানান।
লক্ষ্যমাত্রা পূরণে প্রত্যেক কর অফিসকে (সার্কেল অফিস) দৈনিক অন্তত ৫টি করে নতুন আয়কর ফাইল চালুর নির্দেশ দিয়েছে এনবিআর।

সম্প্রতি মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলোতে উপ-কর কমিশনারকে পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে শুধু নতুন করদাতা খুঁজলে হবে না, নিবন্ধন গ্রহণের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ফাইল চালুর বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে।

বর্তমানে দেশে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা ইটিআইএনধারীর সংখ্যা ৪২ লাখ ২৭ হাজার। এর মধ্যে গত করবর্ষে আয়কর বিবরণী জমা দিয়েছে মাত্র ২০ লাখের মত।

মেফতাহ উদ্দিন খান বলেন, ইটিআইএনধারীদের বার্ষিক আয়কর বিবরণী জমা নিশ্চিত করতে আয়কর ফাইল চালুর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আমাদের বর্তমান যে উদ্যোগ তাতে ইটিআইএন নেয়ার সঙ্গে সঙ্গে ফাইল চালু করতে হবে। এতে রিটার্ন দাখিলকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর রাজস্ব আয়ও বেড়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, আয়কর আইন অনুষায়ী যার নামে কর ফাইল থাকবে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তির জন্য আয়কর বিবরণী দাখিল করা বাধ্যতামূলক।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *