আমরা সব সময় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মনিটরিং করছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে সৃষ্ট সমস্যা অল্প দিনের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিশিষ্ট চিকিৎসকদের নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় ডেঙ্গু পরিস্থিতি মনিটরিং করছি। আমরা মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করছি, মশা মারার জন্য নতুন ওষুধ আনছি। আমরা বিশ্বাস করি পরিস্থিতি অল্প দিনের মধ্যে ম্যানেজ হয়ে যাবে। আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাই। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে চিকিৎসাধীন থেকেও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিদিন খোঁজ নিচ্ছেন ও নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমাদের উদ্যোগের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সমন্বয়ে সব কাজ চলছে।’

জাহিদ মালেক জানান  ‘সারাদেশে ৩১ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ১৭ হাজার ১৬৩ জন রোগী। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ১২ হাজার ২৬৬ জন। বর্তমানে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন চার হাজার ৯০৩ জন। ডেঙ্গুতে মারা গেছেন ১৪ জন। ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোতে নতুন নতুন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। যেসব হাসপাতালে রোগী ভর্তি করা হতো না সেখানে ভর্তির ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।

জেলায়  জেলায় সিভিল সার্জনকে ডেঙ্গু চিকিৎসার গাইডলাইন দেওয়া হয়েছে। আমাদের ২৯ জন বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। তারা ঘুরে ঘুরে প্রত্যেক জেলায় যাচ্ছেন। ডেঙ্গু পরীক্ষায় ৬৫ হাজার কিট বিতরণ করা হয়েছে। আরও পাঁচ লাখ কিট আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।’

বৈঠকে উপস্থিত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘ডেঙ্গু পরিস্থিতি সামাল দিতে আমরা সমন্বিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমাদের ওপর আস্থা রাখুন।’ রাজধানী ঢাকার ১১টি ওয়ার্ডসহ বেশ কিছু এলাকা ডেঙ্গু মুক্ত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘১৪, ১৮, ২৩, ২৯, ৩৫, ৪২, ৫৫, ৫৬ নম্বরসহ ১১টি ওয়ার্ড এবং জিগাতলা, হাজারিবাগ কামরাঙ্গীরচর, ঢাকা কলেজ এলাকা, নিউ মার্কেট, লালবাগ, নবাবপুর, গণকটুলী, ইসলামবাগ, বংশাল, ইংলিশ রোড, পূর্ব জুরাইন এলাকাগুলো এখনো ডেঙ্গু মুক্ত।’

বৈঠকে এসডিজির মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাচিপ সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সনাল সভায়  উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *