গুজব ও ডেঙ্গু মোকাবিলায় গণমাধ্যমের ভূমিকায় প্রশংসা তথ্যমন্ত্রীর
স্টাফ রিপোর্টার,
লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর : গুজব এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্রিয় ভূমিকার জন্য দেশের গণমাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সম্প্রচার খাতে দেশের আইন অনুযায়ী পরিপূর্ণ শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই কাজ করছে সরকার। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবশ্যই আমরা তা করতে সক্ষম হবো।’
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (এটকো) এর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তথ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ও তথ্যসচিব আবদুল মালেকের সঞ্চালনায় এটকো’র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, কার্যনির্বাহী সদস্য ও প্রতিনিধিদের মধ্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আরিফ হাসান, আব্দুল হক, আহমেদ জোবায়ের, কাজী জাহিন এস হাসান, জ.ই. মামুন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহজাহান মাহমুদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক এস.এম. হারুন-অর-রশীদ সভায় অংশ নেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যেই বাংলাদেশের গণমাধ্যমের জন্য অনেকগুলো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। তার প্রেক্ষিতে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা ছিল সেখানে অনেক শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। বিদেশি চ্যানেলের মাধ্যমে যে বিজ্ঞাপন প্রচার করা হয় সেটি পুরোপুরি বন্ধ না হলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। ক্যাবল অপারেটররা নিজস্ব চ্যানেলের মতো করে যে বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতো সেটি বন্ধ হয়েছে। অর্থাৎ সার্বিকভাবে এখানে যে বিশৃঙ্খলা ছিল সেখানে অনেকটা শৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আশা করছি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এখানে পরিপূর্ণ শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।’
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিটিভি’র সম্প্রচার নির্বিঘ্ন এবং সুচারু হচ্ছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এক বছর আগেই উৎক্ষেপণ হয়েছে। ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের সেবা গ্রহণের লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে শুধু বিটিভি সম্প্রচার হচ্ছে। এ পর্যন্ত যে ফলাফল তাতে বিটিভি’র ক্ষেত্রে কোনো অসুবিধা পরিলক্ষিত হয়নি। সবাই অত্যন্ত স্বচ্ছন্দে বিটিভি দেখতে পাচ্ছে।’
গুজব এবং ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় গণমাধ্যমের ভূমিকার প্রশংসা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি সমস্ত টেলিভিশন চ্যানেল ও পত্র-পত্রিকাকে ধন্যবাদ জানাই যে, দেশে যে কিছুদিন ধরে গুজব তৈরি করার চেষ্টা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে আপনারা অত্যন্ত জোরালো ভূমিকা রেখেছেন। একইসাথে ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলা ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও দেশের সকল টিভি চ্যানেল ও পত্র-পত্রিকা অত্যন্ত ভালো প্রচার চালাচ্ছে। এই প্রচার কিভাবে আরো কার্যকর করা যায়, সেগুলো নিয়ে আজকে আমরা আলোচনা করবো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘আরো কয়েকটি বিষয়, যেমন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে বিদেশি অনুষ্ঠান, বিদেশি সিরিয়াল ডাবিং করে সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ক্যাবল নেটওয়ার্ক টেলিভিশন পরিচালনা আইন ২০০৬ এর ১৯(১৪) উপধারা অনুযায়ী সরকারের অনুমোদন লাগে। এছাড়া বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে বিদেশী সিনেমা সম্প্রচারের ক্ষেত্রে প্রচলিত আইন অনুযায়ী সেন্সর সনদ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বিদেশি কোনো কলাকুশলী দেশের চ্যানেলগুলোতে কাজ করার ক্ষেত্রে সরকারের অনুমতি নেয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। সেগুলো যাতে পুরোপুরি মানা হয়, সেবিষয়েও আলোচনা হবে।