জিআরপি থানায় ধর্ষণ: ওসিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনা প্রতিনিধি,
লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
খুলনায় রেলওয়ের জিআরপি থানা হাজতে নারী নির্যাতন ও দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ওসিসহ ৫ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার আদালতের নির্দেশে ভুক্তভোগী নিজেই বাদি হয়ে জিআরপি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
পাকশি থেকে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান ফিরোজ আহমেদ এ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করছেন। তিনি বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে এবং জেলগেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিম নিজেই এ মামলার বাদী।
মামলায় জিআরপি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি), ঘটনার রাতের ডিউটি অফিসার এবং আরো তিন পুলিশ কনস্টেবলকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলার তদন্তকারী অফিসার পাকশি এসপি অফিস থেকে নির্ধারণ করা হবে।
ফিরোজ আহমেদ জানান, নির্যাতন হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন ২০১৩ এর ১৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৩, তারিখ ০৯.০৮.১৯. খুলনা জিআরপি থানা।
উল্লেখ্য, শুক্রবার যশোর থেকে ট্রেনে খুলনায় আসার পথে খুলনা রেলস্টেশনে কর্তব্যরত জিআরপি পুলিশের সদস্যরা ওই গৃবধূকে মোবাইল চুরির অভিযোগে আটক করেন। পরে গভীর রাতে জিআরপি থানা হাজতে ওসি উছমান গনি পাঠানসহ পাঁচ পুলিশ সদস্য তাকে ধর্ষণ করেন। পরদিন ওই গৃহবধূকে পাঁচ বোতল ফেনসিডিলসহ একটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে খুলনার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত ফুলতলায় পাঠানো হয়। গত রোববার আদালতে জামিন শুনানিকালে জিআরপি থানায় ধর্ষণের বিষয়টি আদালতের সামনে তুলে ধরেন তিনি। এরপর আদালতের নির্দেশে সোমবার তার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
এ ঘটনায় পাকশী রেলওয়ে জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয় কুষ্টিয়া রেলওয়ে সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ আহমেদকে।