অধিকতর সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
লিগ্যজল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশে অধিকতর সুশাসন নিশ্চিত করতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, টানা তৃতীয় বারের মত সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে অধিকতর সুশাসন নিশ্চিত করবার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কাজও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রোববার সন্ধ্যায় দক্ষিণ কোরিয়ার সিউলস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারি সফরকালে এই সভায় অংশ গ্রহণ করেন। সিউল থেকে ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়।
স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের দোর গোড়ায় সেবা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বর্তমান সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে পুলিশ বাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ই-পাসপোর্ট সংক্রান্ত বিষয়ে ইতোমধ্যেই কার্যক্রম গ্রহণ করেছে যা যথাসময়ে চালু করা হবে। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈধ পথে নিয়মিত রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের জন্যেও অধিকতর সুযোগ সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করছেন। তিনি উপস্থিত প্রবাসীদের বাংলাদেশে আরো বিনিয়োগ করার জন্য উৎসাহিত করেন।
এ সময় প্রবাসী বাংলাদেশীদের বিভিন্ন সংগঠন তাকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
সভায় প্রবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং অত্যন্ত খোলামেলা পরিবেশে পাসপোর্টসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। মন্ত্রী মন দিয়ে তাদের কথা শোনেন। তিনি নতুন পাসপোর্ট তৈরি, পাসপোর্ট নবায়ন, ই-পাসর্পোট, দ্বৈত নাগরিকত্ব, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স, প্রবাসীদের জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল, বিচার ব্যবস্থায় দীর্ঘসূত্রিতা, দক্ষিণ কোরিয়ার শ্রমবাজার ও রেমিটেন্স প্রেরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দেন।
পাসপোর্ট অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সোহেল হোসেন খানসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে তিনি বাংলাদেশ দূতাবাসের কনস্যুলার শাখা পরিদর্শন করেন এবং দূতাবাসের কনস্যুলার কার্যক্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার মানে মন্ত্রী সন্তোষ প্রকাশ করেন। এ সময় তিনি দূতাবাসে অবস্থিত ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি পাঠাগার’ ও ঘুরে দেখেন।