সাত বছরের মেয়াদউত্তীর্ণ ভ্যাকসিনও বাজারে বিক্রির জন্য

লোপা রাকিব,

লিগ্যাল ভয়েস টোয়েন্টিফোর :
জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১২ সালে। কিন্তু তাও বিক্রি করা হচ্ছিল বাজারে। আর প্রমাণ পেয়ে রাজধানীর ফকিরাপুলের ‘অ্যাডভান্স অ্যানিমেল সায়েন্স কোং লিমিটেড’ নামের একটি কোম্পানিকে ৭৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন ছয় কর্মকর্তাকে দুই বছর করে কারাদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

সোমবার দুপুরে ফকিরাপুলে অভিযান চালায় র‌্যাবের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত। বাহিনীটির নির্বাহী ম্যাজিস্টেট সারওয়ার আলম এই দণ্ড দেন। একই সময় প্রতিষ্ঠানটির লালমাটিয়ার প্রধান কার্যালয়েও অভিযান চালানো হয়।

সারওয়ার আলম বলেন, ‘জলাতঙ্ক রোগের ভ্যাকসিনের কিছুর মেয়াদ ২০১২ ডিসেম্বরে শেষ হয়েছে। অনেকগুলোর মেয়াদ ২০১৩ সালে শেষ হলেও সেগুলো কোল্ড স্টোরেজে রেখে বিক্রি করা হচ্ছিল। এই বছরের মার্চ পর্যন্তও তারা এসব ভ্যাকসিন বিক্রি করেছিল। এছাড়া মুরগির ওষুধের মেয়াদ ২০১৬ সালের অক্টোবরে শেষ হয়েছে।’

‘প্রতিষ্ঠানটি সিঙ্গাপুরের একটি কোম্পানির ওষুধ ও ওষুধ তৈরির সরঞ্জাম প্যাকেটিং করে রেখেছিল। যেগুলো কোন অনুমোদন নেই এবং কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা ছাড়াই সেগুলো প্যাকেটিং করা হচ্ছিল।’

‘ভুয়া লাইসেন্স নম্বর বসিয়ে তারা গরু, মহিষ, ছাগল, মুরগিসহ বিভিন্ন প্রাণীর ওষুধ এবং ভ্যাকসিন তৈরি করছিল। অভিযানে ওই প্রতিষ্ঠানের ১০ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ভ্যাকসিন জব্দ করা হয়েছে।’

সারওয়ার আলম বলেন, ‘তাদের দাবি, কোল্ড স্টোরেজে রাখা ওষুধ ভ্যাকসিন বিক্রি না ধ্বংস করার জন্য রাখা ছিল। কিন্তু প্রতিদিন কোল্ড স্টোরেজের ভাড়া পাঁচ হাজার টাকা। ২০১২ সালের ওষুধ রেখে এভাবে ভাড়া দেওয়ার কী কারণ- এই প্রশ্নের কোনো জবাব কোম্পানি কর্তৃপক্ষ দিতে পারেনি।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *